মহাশ্মশান থেকে বায়ু দূষণ রুখতে পৌরসভার নয়া উদ্যোগ, ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বসানো হলো চিমনি।

0
98

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  নবদ্বীপ পৌরসভার উদ্যোগে বায়ু দূষণ রুখতে আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নবদ্বীপ মহা শ্মশানে বসানো হল অত্যাধুনিক মানের চিমনি। চৈতন্য ধাম মন্দির নগরী নবদ্বীপ হিন্দু ধর্মের অন্যতম এক তীর্থ নগরী হিসেবেই পরিচিত। তীর্থ নগরী নবদ্বীপ ধামে প্রতিদিন হাজার হাজার কন্যার তীরে আসেন মন্দির দর্শনে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবদ্বীপ শহরকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছিলেন। আর তারপরেই নবদ্বীপ শহরকে সাজাতে তৎপর হয়ে ওঠে পৌরসভা থেকে প্রশাসন সকলেই। বিশেষ করে নবদ্বীপের ওপর দিয়ে বয়ে চলা ভাগীরথী নদীর একাধিক ঘাটকে পুনঃ সংস্কার করা হয়। আগামী দিনে নবদ্বীপ ধামকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ রয়েছে সরকার।

এবার শহরকে বায়ু দূষণ মুক্ত রাখতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। নবদ্বীপ পৌরসভার উদ্যোগে আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় নবদ্বীপ মহাশ্মশানে লাগানো হল অত্যাধুনিক মানের চিমনি। নবদ্বীপ মহাশ্মশানকে গোটা নদিয়া জেলা বাসী মনে করেন এক পবিত্র স্থান। শুধুমাত্র নবদ্বীপ এবং তার পার্শ্ববর্তী স্থানেই নয় অন্যান্য জেলা থেকেও বহু মানুষ নবদ্বীপ মহাশ্মশানে আসেন সৎকার করার জন্যে। সেই কারণে প্রতিদিনই নবদ্বীপ শ্মশানে মৃতদেহ সৎকারে চাপ থাকে অন্যান্য শ্মশানের তুলনায় অনেকটাই বেশি। জানা যায় নবদ্বীপ মহাশ্মশানে সর্বমোট তিনটি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। পুরনো বৈদ্যুতিক চুল্লিতে এর আগে চিমনির কোনও ব্যবস্থা ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই লাগাতার মৃতদেহ সৎকারের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে বায়ু দূষণ হতো শ্মশান এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। বায়ু দূষণের কথা মাথায় রেখেই নবদ্বীপ পৌরসভার উদ্যোগে আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় ব্যবস্থা করা হয় এই চিমনির। স্বাভাবিকভাবেই এই চিমনি লাগানোর ফলে অনেকটাই বায়ু দূষণের থেকে রেহাই পাবেন শ্মশান ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজনেরা।