নদীয়ার শান্তিপুর কাশ্যপপাড়ার চাক ফেরা গোস্বামী বাড়িতে বিএসএফ জাওয়ানদের নিয়ে এক মহতি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে শান্তিপুরের সংগঠন পূর্ণিমা মিলনী।

0
216

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দিনরাত এক করে সীমান্তবর্তী এলাকা পাহারা দেয় বিএসএফ জওয়ানরা, যেখানে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারে গোটা দেশবাসী। কিন্তু অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে বড় পদক্ষেপ নিতে হয় বিএসএফ জওয়ানদের, সবটাই দেশের মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে। তবে এক অন্য নজির গড়লো সশস্ত্র বিএসএফ জাওয়ানেরা। এদিন নদীয়ার শান্তিপুর কাশ্যপপাড়ার চাক ফেরা গোস্বামী বাড়িতে বিএসএফ জাওয়ানদের নিয়ে এক মহতি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে শান্তিপুরের সংগঠন পূর্ণিমা মিলনী। শুধু রক্তদান শিবির নয় আয়োজন করা হয়েছিল বিএসএফ দেওয়ানদের অস্ত্র দিয়ে এক প্রদর্শনী, যেখানে গোটা শান্তিপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ আসেন অস্ত্র প্রদর্শনী দেখতে। যদিও অনেকেই ছুঁতে পারেন বিএসএফ জাওয়ানদের অস্ত্র, এবং খুঁটিনাটিও জানতে পারেন কিভাবে বিএসএফ জাওয়ানেরা অস্ত্র ব্যবহার করে। তবে এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল রক্তদান সেনাবাহিনীর জন্য, কিন্তু অনেক মানুষই রক্তদান শিবিরে রক্ত দান করলেও বিএসএফ জাওয়নেরাও পিছিয়ে নেই, তারাও এগিয়ে আসেন রক্ত দান করতে। জানা যায় প্রায় ৮০ জন বিএসএফের জওয়ান এই রক্তদান শিবিরে রক্ত দান করেন। উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ডিআইজি সঞ্জয় কুমার। এছাড়াও ছিলেন সংগঠনের কর্ণধার রুপায়ন চৌধুরী সহ শান্তিপুরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা। পাশাপাশি ছিলেন সেনাবাহিনীর আরও পাঁচ উচ্চ পদস্থ্য আধিকারিক। তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই ধরনের অনুষ্ঠান এ বছর নিয়ে দু বছরে পদার্পণ করলো। অন্যদিকে বিএসএফ জওয়ানদের কাছে পেয়ে আপ্লুত গোটা শান্তিপুরবাসী, পাশাপাশি বিএসএফ জাওয়ানেরা সীমান্তবর্তী এলাকা পাহারা দিলেও তারা যে খুব একটা কঠিন নয় তাও বুঝিয়ে দিলেন সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়ে। সেনাবাহিনীর ডিআইজি সঞ্জয় কুমার বলেন, দেশের জন্য যখন সেনাবাহিনী প্রাণ দিতে পারে তাহলে রক্ত দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে পারবেন না কেন তারা। আমাদের কাছে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের প্রাণ সব থেকে মূল্যবান, এই দেশ আমাদের দেশ, যার নাম ভারত বর্ষ।