শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের ফল,মিষ্টি ও জলের বোতল তুলে দিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাঁটা চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
শিক্ষকরা।

0
185

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—–শিক্ষকরা হলেন একটি জ্বলন্ত মোমবাতির মতো যাঁরা নিজেরা প্রজ্বলিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের আলো প্রদান করেন। এনাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ নির্দেশনা,শৃঙ্খলা এবং স্নেহ-ভালোবাসা এই সবকিছুই পাওয়া যায়।একজন সফল মানুষের পিছনে শিক্ষক যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে,তা নতুন করে বলার কিছু নেই।আজ ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের ফল,মিষ্টি ও জলের বোতল তুলে দিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাঁটা চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
শিক্ষকরা। রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসক,নার্স ও রোগীর আত্মীয়দের হাতেও এই ফল সামগ্রী তুলে দেন তাঁরা।আজকের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তুলসীহাটা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মাসুদ করিম আনসারী সহ অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
প্রসঙ্গত,আজকের দিনেটিকে আদর্শ শিক্ষক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণের জন্মদিন হিসাবে শিক্ষক দিবস পালন করে থাকেন।তিনি আজ থেকে প্রায় ১৩৫ বছর পূর্বে ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে আজকের দিনে চেন্নাই শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে তিরুট্টনি গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে অশেষ কৃতিত্বও অর্জন করেন এবং তিনি সদা সর্বদা স্বদেশ প্রেমের প্রতি জাগ্রত ছিলেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক মিজানুর হক বলেন,আজ শিক্ষকদের দিন।তাই আমরা শিক্ষকরা মিলে এলাকার গ্রামীন
হাসপাতালে ভর্তি দুস্থ রোগীদের মধ্যে ফল বিতরন করলাম।এ প্রসঙ্গে ওই চক্রের বিদ্যালয়ের পরিদর্শক মাসুদ করিম আনসারী জানান শিক্ষক দিবসে শিক্ষকরা কিছু সেবামূলক কাজ করলেন।আগামী সপ্তাহে আমরা সার্কেলের শিক্ষকদের নিয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করব।