নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী প্রকল্প। আর সেই প্রকল্পের ফর্ম টাকার বিনিময়ে বিলি করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ে নিজের চেম্বারে বসেই ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম দিচ্ছেন খোদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এমনই কুকীর্তি ধরা পড়েছে মোবাইলে।যার ভিডিও হাতে এসেছে সংবাদমাধ্যমের কাছেও।প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের।বিক্ষোভের জেরে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন ওই প্রধান শিক্ষক।ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে।অভিযোগ,তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ পাল এর পূর্বেও সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়ার নাম করে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ৬০ টাকা করে নিয়েছেন।এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম দেওয়ার নাম করে স্কুলের সপ্তম,অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন।টাকা দিলে তবেই তিনি রেজিস্টার খাতায় নাম তুলছেন এবং ফর্ম দিচ্ছেন।ছাত্রীরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই প্রধান শিক্ষককে টাকা
দিতে হচ্ছে।এই খবর জানতে পেরে ছাত্রীর অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষককে বলতে গেলে প্রথম দিকে তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি।অভিভাবকরা সরব হয়ে উঠলে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।
জানা গিয়েছে,গ্রামবাংলার ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর এই প্রকল্প বাংলা নয় বাংলার বাইরেও খ্যাতি অর্জন করেছে।এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ বছর হলেই ছাত্রীদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় উচ্চশিক্ষার জন্য।
আর সেই প্রকল্পের ফর্ম নিতে গেলে প্রধান শিক্ষককে দিতে হচ্ছে টাকা।
যদিও প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ পাল
টাকা নেওয়ার কথাটি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন ‘এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম স্কুলের বাইরে থেকে স্ক্যান করে আপলোড করাতে হয়।কিছু খরচ আছে।
তাই এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।অভিভাবকরা যেহেতু অভিযোগ তুলেছেন তাই আর টাকা নিবেন না।’