পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- ভারতীয় জনতা পার্টি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা, খণ্ডঘোষ বিধানসভার পাঁচ নম্বর মন্ডলের উদ্যোগে সেহারাবাজারে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয় রবিবার।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন,রাজ্য সহসভাপতি তথা বিষ্ণুপুর লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, বিষ্ণুপুর জেলার সভাপতি তথা ওন্দা বিধানসভার বিধায়ক অমরনাথ শাখা, ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধারা, বর্ধমান জেলার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র, মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদিকা শম্পা মাথুর , পাঁচ নম্বর মন্ডল সভাপতি কৌশিক আশ সহ আরও অন্যান্য অনেকে।
রবিবার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, খণ্ডঘোষ ব্লকে যদি আমাকে কাজ করতে দিত আমি জোর গলায় বলতে পারতাম, খণ্ডঘোষ ব্লকে উন্নতি করে দেখাতাম কিন্তু তা করতে দেওয়া হয়নি। যখন বাজেট ঘোষণা হয় আমি বারবার বলেছি, লোকসভায় বলেছি বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া যাতে ট্রেনটি চলে তার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমাদের স্বপ্ন ছিল বাঁকুড়া থেকে সেহারাবাজার হয়ে হাওড়া যাবো। আমি আট বছর ধরে লড়াই চালিয়ে এসেছি, যেখানে যাওয়ার গিয়েছি, যেখানে কথা বলার কথা বলেছি। অবশেষে প্রস্তাবে পাশ করলেও দেখা গেছে যে, মাত্র পাঁচ কোটি টাকা পাস করেছেন বিলে। আমি তখন চমকে যাই, সাথে সাথে ছুটে যাই রেলমন্ত্রীর কাছে। যেখানে এই দীর্ঘ রেলপথ করতে দরকার উনোচল্লিশ কোটি টাকা। সেখানে পাঁচ কোটি টাকা কি হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি প্রকল্প থেকে সমস্ত টাকার ব্যবস্থা করে দেন। আজকে আমরা শান্তি।
সৌমিত্র খাঁ আরও বলেন, যে দুয়ারে সরকার চলছে চলুক তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। এই সেহারাবাজার থেকে আট হাজার যুবক-যুবতি বাইরের রাজ্যে কাজের সূত্রে পড়ে আছে, তার কারণ হলো আমাদের রাজ্যে কোনো কর্মসংস্থান নেই। সবটাই মিথ্যা প্রচারে চলছে আর মানুষকে আশ্বাস দিচ্ছে।ভোট এলে ভোটের সময় তৃণমূল নেতারা বেকার ছেলেদের নিয়ে মাতামাতি করে। ভোটের এক মাস মদের টাকা দেয় আর কিছু টাকা দেয় ফিস্ট করার জন্য।