নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- শান্তিপুর ব্লকে বাবলা পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকার প্রকল্প দেখতে এসে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মন্ডল ও তার ছেলে রাজ মন্ডল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের হাতে আক্রান্ত বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করা। অন্যদিকে বাবলা পঞ্চায়েত প্রধান এসটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ার কারণে তৃণমূলের ভোট হলেও বিজেপির প্রধান মনোনীত হয়েছেন সুস্মিতা মুন্ডা।
তিনি বলেন আজ দুয়ারে সরকার চলাকালীন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মন্ডল, এসে দেখাশোনা করেন বিভিন্ন কাউন্টার। এরপর আমার ঘরে আসলে তৃণমূলের উপপ্রধান চন্দন ঘোষ নিজেই জায়গা ছেড়ে দেন, কিন্তু একই ঘরে তৃণমূল এবং বিজেপির প্রধান উপাদান কেন বসবে এই নিয়ে প্রশ্ন করেন সরকারি অফিসার কে। তাতেই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের সাথে বেধে যায় বচসা। এবং শেষ পরিণতি হয় হাতাহাতি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপুর থানার পুলিশ এসে পৌঁছায়।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মন্ডল অভিযোগ জানান , তাকে এবং তার ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী সঞ্জীত পাল এবং স্বপন কর্মকার , এবং উপপ্রধান চন্দন ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের বদনাম করতে, এবং দুয়ারে সরকার প্রকল্প ভন্ডুল করতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলো বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। এক ঘরে প্রধান উপপ্রধান বসা নিয়ে যদি কোন আপত্তি থাকে তা সরকারি আধিকারিকদের কিংবা বিডিও অফিসে জানাতে পারতেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এ বিচার করার কে।
তবে বিজেপির প্রধান সুস্মিতা মুন্ডা জানান একের পর এক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি বিজেপির প্রধান হওয়ার কারণে নানাভাবে বিব্রত করে আসছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। একজন মহিলা হিসেবে পুরুষ উপ-প্রধানের সাথে একই ঘরে বসা যথেষ্ট অসুবিধা কারণ তার সঙ্গে তার পরিচিত বন্ধুবান্ধব এসে দেখা করে যখন তখন একজন মহিলা হিসেবে অস্বস্তিকর বিষয়।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা একই ঘরে তৃণমূলের পুরুষ উপপ্রধান এবং বিজেপির মহিলা প্রধানের বসা নিয়ে পঞ্চায়েত...