নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ। বাড়ির ভিতরে ঢুকে আসবাব পত্র ভাংচুর ও সোনা দানা টাকা পয়সা ছিনতাইয়ের অভিযোগ।অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনা কে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদার চাঁচল থানার জালাল পুর গ্রামে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস।
এই হামলার পিছনে আছে অন্য একটি তত্ত্ব। দুই সপ্তাহ আগে মালদার চাঁচল থানার জালাল পুর গ্রামে জমি বিবাদের জেরে খুন হয় তৃণমূল কর্মী সহিদুর রহমান। খুনের অভিযোগ উঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। খুনের ঘটনা নিয়ে মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তালিকায় নাম জড়ায় কংগ্রেস পরিচালিতজালাল পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তফিজুল হকের। এরপরই গতকাল রাতে তোফিজুল হকের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। তফিজুল হকের স্ত্রীর অভিযোগ, তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বাড়ি ভাঙচুর পাশাপাশি বাড়িতে মজুদ থাকার সোনা দানা সহ সমস্ত কিছু নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচোল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। হামলার ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধানের পরিবার। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয় বলে দাবি জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকারের। তিনি বলেন তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত রয়েছেন এই কংগ্রেসীরা। সেখান থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য এই ধরনের নাটক করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের উপর আস্থা আছে তারা তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।জানা গিয়েছে জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ১৬ এবং তৃণমূলের আসন সংখ্যা ১২l একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রধান হন তফিজুল হক।