নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা; ১৫সেপ্টেম্বর:- এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ।হাই স্কুলের সেই খেলার মাঠের বেহাল দশা।মাঠ জুড়ে ছোট,বড় গর্ত।ভোটের সময় গাড়ি প্রবেশের জন্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙা হয়েছিল মাঠের সীমানা প্রাচীর।তারপর থেকে আর সংস্কার করা হয়নি।এদিকে মাঠে আলো না থাকার ফলে সন্ধ্যের পরেই বসছে নেশার আসর।রাতের অন্ধকারে খেলার মাঠ হয়ে যাচ্ছে নেশার ঠেক। মাঠের এই বেহাল দশায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এবং ক্রীড়া প্রেমীরা।দ্রুত মাঠ সংস্কার,আলো এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের মাঠটি।বেশ কিছু বছর আগে এই মাঠের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছিল।মাঝে প্রাচীরের বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে।সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাকি অংশটা ভেঙে দেওয়া হয়। কারণ ওই মাঠে ভোটের ডিউটিতে আসা অফিসার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি থাকতো।গাড়ি প্রবেশের জন্যই ভাঙা হয় প্রাচীর।কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার দুই মাস হতে চললেও না নির্মাণ হয়েছে প্রাচীর না সংস্কার করা হয়েছে মাঠের।এদিকে মাঠে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধের পরেই অন্ধকারের সুযোগে বসছে নেশার আসর। বাড়ছে সমাজ বিরোধীদের আনাগোনা।খেলার জন্য বর্তমানে একদম অনুপযুক্ত মাঠ।ফুটবল,ক্রিকেট সব কিছুই বন্ধ রয়েছে।ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এলাকার খেলোয়াড়রা।ক্ষোভ জমছে ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে।যদিও পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত মাঠ সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এর আগেও ওই মাঠে নেশার আসর বন্ধ করতে অভিযান হয়েছে। পরবর্তীতেও হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা ক্রীড়াবিদ উজ্জ্বল পরিহার বলেন, এটাই এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ। কিন্তু মাঠের বেহাল দশা হয়ে রয়েছে। ভোটের সময় গাড়ির প্রবেশের জন্য প্রাচীর ভাঙ্গা হয়েছিল। তারপর থেকেই এই অবস্থা। সন্ধ্যার পর আলো না থাকার জন্য নেশার আসর বসছে। আমরা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের আবেদন জানাচ্ছি। সাথে আমাদের এই মাঠ সংস্কার করে দিতে হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাহমিনা খাতুন এই প্রসঙ্গে জানান, ওই মাঠের বেহাল দশার কথা জানতে পেরেছি। আলো এবং প্রাচীর সহ মাঠ সংস্কারের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বান বসু বলেন, মাঠ সংস্কারের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটের সময় প্রাচীর ভাঙা হয়েছিল। সব দ্রুত ঠিক করে দেওয়া হবে। আর নেশার আসর বসার যে অভিযোগ উঠছে এই বিষয়ে আমি আইসির সঙ্গে কথা বলব।
হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, এর আগে মাঠে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সেটা ভেঙে পড়ে। কিছুটা অংশ প্রশাসন ভোটের সময় ভেঙেছে। মাঠে যাতে আলোর ব্যবস্থা করা হয় সেই জন্য বিডিওর কাছে আবেদন করব।
প্রসঙ্গত ডিজিটাল যুগে এই মুহূর্তে মাঠ থেকে বিমুখ হয়ে পড়ছে যুব সমাজ। কমছে খেলার চল। তার মধ্যে এলাকার এই মাঠের বেহাল দশা। যার ফলে খেলাধুলার প্রতি আরো আগ্রহ হারাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে এলাকাবাসী।