পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের মন্দির এ পূজো দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

0
121

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের মন্দির এ পূজো দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুরের সাংসদ এসএস অহুলুওয়ালিয়া, বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ আরো অন্যান্য জেলা বিজেপির কার্যকর্তারা। শনিবার সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দিয়ে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রকল্প টেনে মধ্যপ্রদেশ সরকারের লাডলি বহেনা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন লাডলি বহেনা প্রকল্পে মধ্যপ্রদেশ সরকার প্রত্যেক মহিলাকে 1250 টাকা করে দেন, কিন্তু পশ্চিমবাংলায় সাধারন মানুষ পাচ্ছেন ৫০০ টাকা, তাও আবার সবাই পান না লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা। চার কোটি মহিলার মধ্যে মাত্র এক কোটি মহিলা পান লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা।
সরকারি নথিপত্র দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পর থেকে অনেক আগে লাডলি বহেনা প্রকল্প চলছে।
সুকান্ত মজুমদার শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে আরো বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানাতে ষাট বছর পার হলেই সাথে সাথে বার্ধক্য ভাতার পরিসেবা পাবে সাধারণ মানুষ। এমনকি মোবাইলে মেসেজ চলে যাবে যে আপনার বার্ধক্য ভাতা চালু হয়ে গেল। সেখানে বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার জন্য কোন রকম আবেদন পত্রের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু বাংলায় এর চিত্রটা সম্পূর্ণই আলাদা। বিজেপি শাসিত রাজ্য অনেক এগিয়ে আছে পশ্চিমবাংলার চেয়ে।
‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির চক্রান্ত তাই ইডি-সিবিআই দিয়ে বারবার ডাকা হচ্ছে’, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার পরিবার যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের সম্পত্তিকে ব্যবহার করে, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের টাকাকে শোষণ করে নিজেদের সম্পত্তি বাড়িয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নামে গরু পাচারের অভিযোগ, কয়লা পাচারের অভিযোগ আছে তাই তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে কোর্টের রায়ে,মহামান্য আদালত সেই রায় দিয়েছেন।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার ইন্ডিয়া দল নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন ইন্ডিয়া জোটের ২৬ টি দলের ২৬ জন প্রধান। ইন্ডিয়া জোটে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কংগ্রেস কোনভাবে তৃণমূলের কাঁধে হাত রেখে বাঁচার চেষ্টা করছে। কংগ্রেস দলটা ভুলে গেছে তাদের নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে এই রাজ্যে মার খেলো, বোমায় মারা গেল। সব কিছু ভুলে কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটে সামিল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অঙ্গুলিহেলনে।