উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ-আমাদের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যের এক বিশাল সংখ্যাক শহর ও গ্রামের উচ্চশিক্ষিত, শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত যুবক-যুবতী কর্মসংস্থানের কোনো রাস্তা না পেয়ে রোজগারের জন্য ই-রিক্সা বা টোটো চালকের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এই যান বৈদ্যুতিক ব্যাটারীতে চলে, তাই এটি সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব। শহরে ও ছোটো ছোটো রাস্তায় এই চালকরা যাত্রী পরিবহন করেই মূলত রোজগার করে পরিবার প্রতিপালন করে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রায় ১৫ লক্ষাধিক যুবক-যুবতী বিভিন্ন শহরে, গামগঞ্জে এই ই-রিক্সা বা টোটো চালকের পথ বেছে নিতে আজ বাধ্য হয়েছেন। বিভিন্ন কোম্পানীর ই-রিক্সা বা টোটো বাজারে বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হয় । বাজার মূল্য যার ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। যা ই-রিক্সা বা টোটো তৈরীর খরচের প্রায় দ্বিগুন। ই-রিক্সা বা টোটোর বিক্রয় মূল্যে প্রশাসনিক কোনো নিয়ন্ত্রন না থাকার ফলে, দরিদ্র এই বেকার যুবক-যুবতীদের ধার দেনা করে বেশী দামে কিনতে হয়। সরকারি কোষাগারে বিক্রিত মূল্যের উপর নির্দিষ্ট ট্যাক্স দিয়ে কেনার পরেও অনেক ক্ষেত্রে রাস্তায় অঁরা চালাতে পারেন না। সম্প্রতি রাজ্য পরিবহন দপ্তর ০৫/০৯/২০২৩ (482-Secy(TR)/2023) তারিখে এক বিঞ্জপ্তি জারি করে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে এবং জেলার গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলির উপর দিয়ে অন্যান্য তিন চাকার গাড়ির সাথে এই টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। পরিবহন শ্রমিক হাওয়া সত্বেও এই টোটো বা ই- রিক্সা চালকদের নেই পরিবহন শ্রমিকের স্বীকৃতি ও পরিচয়পত্র। ফলে- নেই কোনো প্রকার সামাজিক সুরক্ষা।
এই অসহনীয় অবস্থা নিরসনের জন্য সারা বাংলা ই-রিক্সা (টোটো) চালক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি
০৫/০৯/২৩ (482-Secy (TR) / 2023) তারিখে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
ই-রিক্সা বা টোটো চালকদের “ পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ২০১০” এর অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
সব ধরনের ই-রিক্সা বা টোটো যানের রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
চালকদের উপর প্রশাসনিক হয়রানী ও বিধিনিষেধ বন্ধ করতে হবে।
দুর্ঘটানাজনিত বীমা চালু করতে হবে।
ই-রিক্সা বা টোটো চার্জের জন্য স্বল্প মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। ই-রিক্সা বা টোটোর বিক্রয় মূল্যের উপর দ্রুত নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উত্তর দিনাজপুর কালিয়াগঞ্জের হাসপাতাল পাড়া অবস্থিত রানিং বুলেট ক্লাব ময়দানে সারা বাংলা ই-রিক্সা টোটো চালক ইউনিয়নের জেলা কমিটির পক্ষে জমায়েত হয়। প্রথমে রানিং বুলেট ক্লাব ময়দান থেকে ধিকার মিছিল করে কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিস আসেন ও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এরপরে ক বিডিও অফিস থেকে ধিকার মিছিল বের করে কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও লিখিত অভিযোগ সংগঠনের পক্ষে। কমিটির পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জ এর বিডিও প্রশান্ত কুমার রায় ও কালিয়াগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কে ৭ দফা দাবি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়। দাবিগুলো না মানা হলে আগামী দিনে বিরহতম আন্দোলনের হুমকি সারা বাংলা ই-রিক্সা টোটো চালক ইউনিয়নের জেলা কমিটির পক্ষে।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কে কেন্দ্র করে জেলা ও কালিয়াগঞ্জ থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী মজুদ করা হয় বিডিও অফিস ও থানার সামনে । এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন সারা বাংলা ই-রিক্সা টোটো চালক ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক শ্যামল রাম, জেলা নেতা গোপাল চুনারি, ব্লকের নেতা সুব্রত মোদক সহ অনান্য।