নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- দুর্গা পুজো আসলেই কারো ভাদ্র মাস আবার কারো সর্বনাশ।তবে জাই হোক পুজো আসলেই সকলের একটু আশা থাকে ভাল বা মোটা টাকা রোজগার করা।কিন্তু এখানে দেখা তাদের সারা বছর ধরে অতি কস্টের মধ্যে জীবন জীবিকা অতিবাহিত করতে হয়।অনেকের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত পরিস্থিতি সৃস্টি হয়।নদিয়ার রানাঘাট থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে হবিবপুর অঞ্চলের দক্ষিন মাজদিয়ার প্রায় ২০ জন শ্রমিকের একমাত্র রুটি রুজি বাশ কেটে তাদিয়ে ঝুড়ি তৈরী করা।তাদের এক শ্রমিক খোকন দাস জানায় আমরা বিভিন্ন ধরনের বড় বড় ঝুড়ি তৈরী করি। সামান্য লাভে বিক্রি করতে হয়।তবে চাহিদা আছে কিন্তু উপজুক্ত পারিশ্রমিক পাওয়া যায় না।তারা এও জানায় একটা ঝুড়ি তৈরী করতে প্রায় ৫০ টাকা অর্থ ব্যয় হয় তার উপর আবার নিজেদের কঠোর পরিশ্রম। মুলতঃ এইসমস্ত ঝুড়ি ফুলের কাজে, বিভিন্ন সবজী,আম সহ অন্যন্য কাজে ব্যবহার করা হয়।খোকন দাস এবং তার সহ কর্মীরা জানায় আগে দুর্গা পুজোর সময় বিভিন্ন পুজা মন্ডপকে বাশের তৈরী শিল্প কলাকে তুলে ধরতেন পুজো উদ্যোতারা।কিন্তু বর্তমানে এই বাশের তৈরী ভাস্কর্য শিল্প কলা অবলুপ্তির পথে। বেশ কয়েক বছর আগে পুজো মন্ডপের কাজে তাদের ডাক আসতো এখন আর কেউ ডাকে না।সরকারও তাদের কথা চিন্তা ভাবনা করে না।তাই এই শিল্পকে বাচিয়ে রাখতে সরকারী পদক্ষেপ সেই সাথে আর্থিক সহয়তা প্রদান করলে তারা স্বচ্ছল ভাবে চলতে ফিরতে পারবে।