দেওরকে প্রেমিকের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীহারা এক বধূর বিরুদ্ধে, চাঞ্চল্য নন্দকুমারে।

0
391

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পরকীয়ায় আপত্তি। দেওরকে প্রেমিকের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীহারা এক বধূর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রায় দেড় মাস আগের। ওই বধূ ও তার প্রেমিক গ্রেপ্তার হতেই পর্দা ফাঁস। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গায় বাড়ি ওই বধূর। প্রেমিকের আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার খঞ্চিতে। দেওরকে সেখানে নিয়ে গিয়েই হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। দেহটিও খাদি সংলগ্ন জাতীয় সড়কের ধারে নয়ানজুলিতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে ধৃতরা। খুনের প্রায় ৪২ দিন পর বৃহস্পতিবার ৩৬ বছর বয়সী দেওর প্রতিহার বাড়ি সারেঙ্গা থানার মাকড়কোল গ্রামে। তাঁর দাদা পিন্টু প্রতিহার বছর দশেক আগে মারা যান। বউদি গোলাপ ওই থানারই চিংড়া গ্রামে বাপের বাড়িতে চলে যান। মাস ছ’য়েক আগে গোলাপের সঙ্গে আলাপ হয় গোপালচন্দ্র জানার নামে এক ব্যক্তির। গোপালের আদি বাড়ি খঞ্চিতে হলেও সে বর্তমানে গড়বেতা-২ ব্লকের আমলাশুলীতে পরিবার নিয়ে থাকে। গোলাপের মাকে ধরম মা পাতিয়ে অবাধে বাড়িতে আসা যাওয়া করত গোপাল। সেই সুবাদে গোপাল ও গোলাপের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। আর সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে ওঠেছিল দেওর অসিতের,গত ৫ আগস্ট গোলাপ অসিতকে নিয়ে বাপের বাড়িতে যায়। তারপর থেকে অসিতের কোনও খোঁজ ছিল না। ১৩ সেপ্টেম্বর গোলাপ বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যায়। কিন্তু তার অসিত না থাকায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর অসিতের খুড়তুতো ভাই স্বপন প্রতিহার সারেঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২৪ ঘণ্টার পর ধৃত প্রেমিক সহ বধূর,দুই জেলার পুলিস যৌথভাবে দেহটির সন্ধানে নামবে। থাকবেন ম্যাজিস্ট্রেটও। নন্দকুমারে নিয়ে আসা হবে নিহত যুবকের বউদি ও তার প্রেমিককে।নন্দকুমার থানার ওসি সৌরভ চিন্না বলেন, ‘সারেঙ্গা থানার পুলিস ধৃত দু’জনকে নিয়ে আসবে। বাঁকুড়ার ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবেন। তাঁর উপস্থিতিতে দেহ খোঁজা হবে।” বুধবার দেহটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হতো। কিন্তু, এদিন তমলুক ডিএম অফিসে খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে বিপুল ফোর্স মোতায়েন করা হয়। নন্দকুমার থানার ওসি সহ অন্যান্য পুলিস অফিসার ও কর্মীরাও তমলুকে ছিলেন। তাই বুধবারের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার দেহের খোঁজ চালানো হবে, ইতিমধ্যেই পুলিস গোলাপ এবং তার প্রেমিক গোপালকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের চাপ দিতেই খুনের কথা কবুল করে। পুলিস জেনেছে, গত ৬ আগস্ট অসিতকে নিয়ে ধৃত দু’জন নন্দকুমারের খঞ্চিতে যায়। সেখানে গোপাল জানার বাড়িতে অনুষ্ঠান আছে বলে অসিতকে ভুল বুঝিয়ে আনা হয়। সম্ভবত ওই দিন রাতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নিয়ে গিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয় অসিতকে। দেহটি নয়ানজুলিতে ফেলে দিয়ে দু’জনে বাড়ি ফেরে।