আবদুল হাই,বাঁকুড়া :- এডিস মশা থেকে ছড়ায় মারণ রোগ ডেঙ্গু। জানা গেছে ডেঙ্গুর ৭০ শতাংশ সংক্রমণ ধরাই যায় না। বাকি ৩০ শতাংশ রোগীর জ্বর হয় এবং ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে যেতে পারে। ডেঙ্গুর উপসর্গ নাও লক্ষণীয় হতে পারে। যাদের উপসর্গ দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর দুটি পর্যায় লক্ষ করা যায়। একটি হল জ্বরের পর্যায় এবং অপরটি হল গুরুতর পর্যায়। এসব ক্ষেত্রে জ্বরের পাঁচদিন এর মধ্যে এন এস ওয়ান “এন্টিবডি ডিটেক্ট” করা হয়। আবার পাঁচদিন পড়ে হলে আই জি এম “এন্টিবডি ডিটেক্ট” করা হয়। ডেঙ্গু হওয়ার পর পাঁচদিন পর জ্বর কমে গেলেও আশঙ্কা থেকে যায়। যদি রোগ গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেলে যে সমস্যা গুলি হবে সেগুলি হল রক্তচাপ কমে যাওয়া, প্লেটলেট বা অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং রক্ত ক্ষরণ। গুরুতর পর্যায়ে মৃত্যুর আশঙ্কা সব থেকে বেশি।
তাহলে কি করে বুঝবেন যে আপনার দেহে মারণ ডেঙ্গু বাসা বেঁধেছে। কি করতে হবে ? বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জেনারেল মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের হেড অফ দা ডিপার্টমেন্ট। ডঃ শ্যামল কুন্ডু একদম সহজ করে বলে দিলেন মোক্ষম উপসর্গগুলি। উপসর্গ গুলি হল ভীষণ জ্বর ,জ্বর না থাকলেও মাথা যন্ত্রণা, বমি হওয়া, পেটে ব্যাথা, শ্বাস কষ্ট এবং রক্তচাপ কমে যাওয়া। এই উপসর্গ গুলি দেখলেই ভর্তি হতে হবে।
এবার তাহলে ভাবছেন যে ডেঙ্গুর জ্বর হলে কি করবেন তাই তো? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানালেন, ডেঙ্গুর জ্বরের একমাত্র ওষুধ হল প্যারাসিটামল এবং রোগীকে দিনে তিন থেকে চার লিটার জল পান করতে হবে। ডেঙ্গুর জ্বরে এন্টিবায়োটিকের কোন প্রয়োজন নেই। যদি ডেঙ্গুর জ্বর ক্রিটিকাল পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখনই ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া যেতে পারে। তার আগে প্রাথমিকভাবে প্যারাসিটামল এবং পানীয় জল ছাড়া আর কোনও ওষুধ নেই। ডেঙ্গুর রোগী যদি খেতে পারেন তাহলে ঘরের যে কোন খাবার খাওয়া যাবে। এরকম অবস্থায় শক্ত খাবার খেতে অসুবিধা হয় তাই তরল খাবার হলে রোগীর খেতে সুবিধা হবে ।