নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:—--দু দিনের মালদা সফরে এলেন প্রবীন সাংবাদিক ও জীবনবাদী লেখক ড: পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ শতাব্দী এক্সপ্রেসে মালদা টাউন স্টেশনে নামেন পার্থ বাবু। স্টেশনে নামার সময় জীবনবাদী পাঠক পাঠিকা ও শিক্ষক, অধ্যাপক শুভানুধ্যায়ীদের তরফে ফুলের মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। স্টেশনে ৮৬ টি গোলাপ ফুলের মালা পরিয়ে পার্থ বাবুকে বরণ করে তার দীর্ঘায়ু কামনা ও শুভেচ্ছা জানান সদস্যরা । আপ্লুত ও পার্থবাবু জানান আমি খুব খুশি ও আপ্লুত । মোথাবাড়ি থানার উত্তর লক্ষীপুর হাইস্কুলে শনিবার ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে মূল্যবোধ গঠন ও শিক্ষা বিষয়ক এক আলোচনায় আলোকপাত করবেন প্রবীন লেখক। এছাড়া রবিবার মালদা শহরে টাউন হলে এক জীবনবাদী পাঠক পাঠিকা সম্মেলনে “জীবন গড়ার ম্যানেজমেন্ট” শীর্ষক আলোচনাসভায় মুখ্য বক্তা হিসাবে ভাষন দেবেন। এই সম্মেলন শুরু হবে দুপুর ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত।
জীবনবাদী দর্শনের প্রবক্তা, বিশিষ্ট লেখক, সামাজচিন্তাবিদ ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের মাস্টারমশাই ৮৬ বছরে ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুখ্য বক্তা । পার্থ বাবুর সঙ্গে এসেছেন তরুণ লেখক ও কর্পোরেট ট্রেনার অতনু প্রজ্ঞান বন্দোপাধ্যায় ও কবি সমরেন্দ্র নাথ গাঙ্গুলী। ৮৬ বছর বয়সে জীবনবাদী পাঠক সম্মেলন অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করছেন পাঠকরা। মালদহের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে ডঃ চট্টোপাধ্যাকে তাঁর আসন্ন ৮৬তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে । রবিবারের কর্মশালাটি প্রধানত মালদহের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য। কেমন করে জেলার ছেলে মেয়েরা জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করে প্রত্যেকে মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠবে তার পথ নির্দেশ থাকছে এই কর্মশালায়। মালদহে জীবনবাদী লেখক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনবাদী পাঠক পাঠিকা সম্মেলন উপলক্ষে বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশিত হবে । পার্থবাবুর আগমনে সম্মেলন ঘিরে পাঠকদের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে যথেষ্ট। রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার মালদায় এসেছেন তিনি। ১৯৫৫ সালে মালদহে প্রথম আসা আর জীবনের শেষ বেলায় ৮৬ বছর বয়সে আবার পদার্পণ সেই মালদা । মহা জীবনের একটি বৃত্ত যেন শেষ হলো পার্থ বাবুর। জীবনবাদী সম্মেলন ও অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলকাতা থেকে দেজ পাবলিশিং পার্থ বাবুর ৮০টি জীবনবাদী বইয়ের একটি প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা করেন।