নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:—-প্রতীক্ষার আর ২৮ দিন। তারপরেই আপামর বাঙালি মেতে উঠবে উমার আগমনীর আনন্দে।শুরু হয়ে গেছে তার কাউন্টডাউন।পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যেও এই মুহূর্তে তুঙ্গে ব্যস্ততা।উত্তর মালদার যে কয়েকটি দুর্গাপুজোকে ঘিরে বিগত কয়েক বছরে সবথেকে বেশি আকর্ষণ থাকা মানুষের তার মধ্যে অন্যতম হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের পিপলা রামকৃষ্ণ ফ্যানস ক্লাবের পুজো।গত বছর উত্তরবঙ্গের সব থেকে বড়় দূর্গা বানিয়ে জেলা জুড়ে তাক লাগিয়েছিল এই ক্লাব। সমগ্র মালদা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিহার থেকে ভিড় জমিয়েছিল দর্শনার্থীরা।এই বছরও পিপলা রামকৃষ্ণ ফ্যানস ক্লাবের পুজো নিয়ে কৌতূহল সকলের মধ্যে।সকলের জিজ্ঞাস্য এই বছরে কি চমক দেবে রামকৃষ্ণ ফ্যান্স ক্লাব। শনিবার খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিল রামকৃষ্ণ ফ্যান্স ক্লাব।সব থেকে বড় দুর্গার পর এই বছর তাদের থিম হাজার হাতের দুর্গা।প্রতিমা তৈরি করছেন মালদার শিল্পী সহদেব পাল।প্যান্ডেলের দায়িত্বে রয়েছেন চাঁচলের সাদেকুল আলম।হাজার হাতের দুর্গার সঙ্গে থাকছে চিত্তাকর্ষক আলোকসজ্জা। এছাড়াও থাকছে বিশেষ চমক।কিন্তু কি সেই চমক? তা স্পষ্ট ভাবে বলেননি উদ্যোক্তারা। দেবী দুর্গা দশভূজা।দশ হাতেই তিনি মহিষাসুরকে বধ করে হয়েছিলেন মহিষাসুরমর্দিনী। অশুভ শক্তির বিনাশের পর শুরু হয়েছিল দেবিপক্ষ।দেবী সেই দশ হাতেই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড চালান।দেবীর দশ হাত হাজার হাতের সমান।হাজার হাতের দুর্গার মাধ্যমে সেই ভাবনায় ফুটিয়ে তুলতে চাইছেন উদ্যোক্তারা।এই পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান।তাই প্রত্যেকবারই এই পুজোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে এক সম্প্রীতির পরিবেশ।ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মেতে উঠে দেবীর আরাধনায়।
পিপলা রামকৃষ্ণ ক্লাবের সম্পাদক বুলবুল খান জানান, গত বছর আমাদের থিম ছিল উত্তরবঙ্গের সব থেকে বড় দুর্গা।পুজোর মাঝে বৃষ্টি বাধ সেজেছিল ঠিকই। বৃষ্টির জন্য আয়োজনে অনেক সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও মানুষের ঢল নেমেছিল মণ্ডপে। এই বছর মূল আকর্ষণ হাজার হাতের দুর্গা। এছাড়াও বিশেষ চমক থাকবে।শুধু চাইবো পুজোর দিনগুলিতে যাতে বৃষ্টি না পড়ে।”
দুর্গাপূজো শুধুমাত্র পুজো নয় বাঙালির উৎসব।যেখানে সকল শ্রেণীর মানুষ আনন্দে মেতে উঠে।ঠিক যেন ঘরে মেয়ে এসেছে।এখানে থাকে না কোন ভেদাভেদ। কলকাতার মোহাম্মদ আলী পার্কেও যেমন অষ্টমীর অঞ্জলি হয়।তেমন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরেও দুর্গাপূজা করে বুলবুল খানেরা।