নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রাস্তার বেহাল অবস্থা, অল্প বৃষ্টিপাত হতেই এক হাঁটু জল জমে যায় । রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় এলাকাবাসীদের। পাশাপাশি এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অধিক ভাড়া দেওয়া সত্বেও ভাঙা রাস্তা দিয়ে কোন টোটো অটো কিংবা অ্যাম্বুলেন্সের চালকেরা গাড়ি নিয়ে আসতে চায় না। বেহাল রাস্তার কারণে বর্ষাকালে স্কুল-কলেজে বা প্রাইভেট টিউশনিতে সময় মত পৌঁছতে পারে না ওই এলাকার ছাত্রছাত্রীরা।দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করার মূল রাস্তার এই ভগ্ন দশার কারণে একপ্রকার এলাকাবাসীদের জীবন যাপন করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ নদিয়ার হাঁসখালি থানার দক্ষিণপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবতীতলা ১৫৭ নম্বর বুথ এলাকায়। এই রাস্তাটি কৃষ্ণগঞ্জ ও বাদকুল্লা যাওয়ার রাস্তা ।স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার বেহাল দসার কথা একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনিক মহল ছাড়াও জেলা প্রশাসনের কাছে জানানো সত্বেও আজও কোন সুরাহা মেলেনি। যার কারণে এই দিন বাধ্য হয়েই জল জমে থাকা রাস্তায় মাছ ধরার জাল নিয়ে এলাকাবাসীরা রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভে শামিল হন ওই এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী পুরুষ মহিলা থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষরাও। তাদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা মেরামতির ব্যবস্থা প্রশাসন না করলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে তারা বাধ্য হবেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ৫০ সমিতির সভাপতি নিজের বুথে এই রাস্তার বেহাল দশা হলে অন্য অবস্থায় কি হতে পারে । এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সদস্যা মুনমুন বিশ্বাস রাস্তাটির বেহাল বসার কথা স্বীকার করে নেন । তিনি বলেন রাস্তাটি মেরামতি করার জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রসেসিং হয়ে গিয়েছে ওয়ার্ক অর্ডার বেরোলেই মেরামতির কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি বর্ষাকালে রাস্তায় জল জমে যাওয়ার সমস্যা আর সমাধানের জন্য ড্রেন তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। এছাড়াও পথশ্রী প্রকল্পের মধ্যেও রাস্তাটির নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখন দেখা যাক কবে রাস্তাটি সারানো হয় কবে সাধারন গ্রামের মানুষ দুঃখ যন্ত্রণা থেকে মুক্ত পায় ।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা বেহাল দশা চলাচলের একমাত্র রাস্তা অতিষ্ঠ জনজীবন, রাস্তা ঠিক করার দাবিতে জমা...