নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবছর রাজ্যের পূজা উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক অনুদান বাড়িয়ে চলেছেন অথচ যাদের জন্য এই দুর্গাপূজা তারা কিন্তু পড়ে রয়েছে সেই তিমিরেই। তাদের তৈরি দেবী দুর্গার পট চিত্রের দাম পায়নি বৃদ্ধি। একই সাথে নেই নেই কোনও সরকারি সাহায্য। বাধ্য হয়ে দিনের পর দিন বাড়িতে বসে স্বামী শ্বশুরের এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছে রেবা দেবীর মত বৃদ্ধারা। বয়স ৫০ অনেকদিন আগে অতিক্রম হয়ে গেছে। ঠিকমত চলাচল করতে পারে না তবুও জরাজীর্ণ বারান্দার নিচে বসে জনতার স্টোভে সাবুর আঠা জ্বাল দিয়ে পট চিত্র এঁকে চলেছেন ঘূর্ণির পটুয়া পাড়ার রেবা পাল। পাল বাড়িতে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই দেখছেন শশুর ও স্বামীর পটচিত্র আঁকা। ধীরে ধীরে রেবা দেবী ও স্বামী শ্বশুরের মৃত্যুর পর তাদের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এসেছেন। আর এই শিল্পই এবার জীবনধারণের একমাত্র পথ ও অবলম্বন। দেবাদেবীর তৈরি পটচিত্র কলকাতার কুমোরটুলি সহ রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। সারা বছর কম বেশি কাজ থাকলেও দুর্গা পুজোর সময় পট চিত্রের চাহিদা থাকে বেশি। খাটুনি অনুসারে পয়সা নেই তবুও জীবন জীবিকা নির্বাহ হিসেবে পটচিত্র শিল্পকেই বেছে নিয়েছেন রেবা দেবী।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা খাটুনি অনুসারে পয়সা নেই তবুও জীবন জীবিকা নির্বাহ হিসেবে পটচিত্র শিল্পকেই বেছে...