আবদুল হাই,বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের বামুণকুলির ৩১৩ বছরের পুরনো বনেদি দুর্গাপূজা। কথিত ছিল একসময় মায়ের দর্শন দেওয়া ছোট্ট তোপ দেগে শুরু হত এই পূজা। পূজার চারদিনই তোপ দেগে চলত পূজা। ছাতনা ব্লকের ছাতনা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বামুনকুলি গ্রামের ব্রাহ্মণ পরিবার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেওঘরিয়াদের তত্ত্বাবধানে প্রায় তিন শতকের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই ঐতিহ্যবাহী পূজা। পারিবারিক ঐতিহ্যবাহী এই পূজায় জিরে থেকে হীরে সবকিছুই ব্যবস্থা করে থাকেন এই দুই পরিবারের মানুষ। পূজায় অংশগ্রহণ করেন গোটা বামুনকুলি গ্রামের বাসিন্দারা। পুজো এসেছে, বৃষ্টির মুখ কাটিয়ে শরতের মেঘ দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়ার আকাশে। বাঁকুড়ার এই অন্যতম বনেদি পূজারও শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
২৩ থেকে ২৪ ধরনের পদ সহযোগে মহাসপ্তমী, মহা অষ্টমী এবং মহা নবমীতে তৈরি হয় মায়ের ভোগ। নিমন্ত্রিত থাকেন গ্রামের পঞ্চ বিষ্ণু। এই তিন দিনেই গোটা গ্রামের মানুষ মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করতে ভক্তি সহযোগে জমায়েত হন মন্দিরের সামনে। পূজার চার দিন ছাড়াও, বছরে ৩৬৫ দিন পূজা করা হয় মায়ের শিলা মুর্তিকে। পুজো এসেছে তাই প্রস্তুতির তোড়জোড়ও বেড়েছে। এদিন দুর্গা মন্দিরের সামনে দেখা গেল দুই পরিবারের সদস্যদের। পূজার প্রতিদিনই প্রায় আট ধরনের জল ব্যবহার করে স্নান করানো হয় আয়নার উপরে মায়ের প্রতিকৃতিকে।
পুজোর সময় শুশুনিয়া পাহাড়ে ভিড় জমে পর্যটকদের। আপনিও যদি সেই পর্যটকদের মধ্যে অন্যতম হন তাহলে অবশ্যই চলে আসুন বামুণকুলি গ্রামে। শুশুনিয়া পাহাড় থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে বামুণকুলি গ্রামে পেয়ে যাবেন রাঢ়বাংলার গ্রাম বাংলার বনেদি বাড়ির পুজোর এক অনন্য স্বাদ।