নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা : ধর্মপরায়ন রামসুখ দে সমস্ত উপাচার মেনে পুজো শুরু করেন। এরপর ব্যাবসার উন্নতি ঘটে সেই উন্নতি ও দরিদ্রদের প্রতি তার দান দেখে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাকে চৌধুরী উপাধিতে ভূষিত করেন। পরবর্তী কালে পারিবারিক শ্রী বৃদ্ধির কারণে দে চৌধুরী পাড়া নামে পরিচিত পাই। এই পুজো ২৭৯বছরে পদার্পণ করলো। বৈষ্ণব মতে পুজো হয় সেই হেতু ভোগ রান্না না করে কাচা জিনিষ দেওয়া হয়। মা দূর্গা কে মেয়ে রূপে পুজো করা হয়। মেয়ের বিয়ে হয়েগেলে বাপের বাড়িতে আসলে যেমন আনন্দ হয় তেমনি মা দূর্গা কে নিয়ে মেয়ের মতন করে দেখা হয়।রানাঘাট দেচৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো রানাঘাটের প্রাচীন পুজো । রানাঘাটের নাম ছিল ব্রহ্মডাঙ্গা পরবর্তী কালে রানাঘাট নাম হয় রনা ডাকাতের নাম অনুসারে। রামসুখ দে 1744 সালে দুর্গাপুজো শুরু করেন কথিত আছে সেই সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের বাবস্যার উন্নতি ও দান দেখে চৌধুরী উপাধিতে ভূষিত করেন ।সেই থেকে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে ।কোনোবার পূজো বন্ধ হয়নি ।বৈষ্ণব মতে পূজো হয়ে আসছে। নিয়ম মেনে পূজো হচ্ছে ।প্রতিপদ থেকে ঘট বসে ।নবমী অবধি অনির্বান প্রদীপ জ্বলে ।হোম ও জ্বলতে থাকে ।কাঁচা ভোগ দেওয়া হয় ।কোনো বলি দেওয়া হয়না ।বিদেশ থেকে ও বিভিন্ন জায়গা থেকে আত্মীয় স্বজন আসে। এমন কি বিদেশ থেকেও পরিবারে লোক জন পুজোর সময় বাড়ির পুজোতে চলে আসেন।