নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ১৮ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য। গৃহবধূর বাবার বাড়ির দাবি শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে আত্মঘাতী হয়েছে মেয়ে। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের নৃসিংহপুর মধ্য কলোনি এলাকার। জানা যায় মৃত গৃহবধুর নাম পায়েল হালদার বয়স ১৮ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবা নারায়ণ হালদার জানান, গতকাল রাতে মেয়ে তার বাড়িতে এসে রাত কাটায়। সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে চলে আসার জন্য, এরপরেই মেয়ে চলে যায় তার শশুর বাড়ি। বাবা নারায়ন হালদারের অভিযোগ, সকাল দশটা নাগাদ তিনি খবর পান তার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, তৎক্ষণাৎ ছুটে যান তিনি। খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। বাবা নারায়ণ হালদারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর বাড়ি অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল মেয়ে, যার কারণে মাঝেমধ্যেই বাড়িতে চলে আসতো। মেয়ের আত্মহত্যার পেছনে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কারণ বলেই অভিযোগ করছেন বাবা নারায়ন হালদার। তবে মেয়ের শেষকৃত্যর পরে মেয়ে পায়েল হালদারের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করবে বলে জানিয়েছেন মৃতের বাবা। সোমবার বেলা নাগাদ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। অন্যদিকে ওই গৃহবধূ কি কারনে আত্মহত্যা করল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও মৃত গৃহবধুর শ্বশুরবাড়ি নৃসিংহ পুর মধ্য কলোনিতে।