বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা: ইডির ডাকে পুরো পরিবার, সেদিক থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই রাজভবন কর্মসুচী করে নাটক করছেন অভিষেক। এমনকি গতকাল তার স্ত্রীকেও সেখানে নিয়ে এসেছেন।এরপর হয়তো ইডির হাত থেকে বাচতে গোটা পরিবারটাই সেখানে হাজির করা হবে।কিন্তু কেউ তাদের রক্ষা করতে পারবে না। যে চরম দুর্নীতি হয়েছে তার থেকে রেহাই নেই ব্যানার্জী পরিবারের। পুরো ব্যানার্জী পরিবারটাই দুর্নীতি গ্রস্ত পরিবার। আজ বালুরঘাটে অভিষেকের রাজভবন কর্মসুচী নিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।পাশাপাশি রাজ্যপালকে নিয়ে তৃনমুলের কুটমন্তব্যের সমালোচনা করে সুকান্ত বাবু বলেন রাজ্যপাল মানবিক বলেই উত্তরবংগের এই দুর্যোগের খবর পেয়ে ছুটে এসে দুর্গত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। যা রাজ্যের একজন প্রধান হয়ে তাই কাম্য হওয়া উচিত। রাজ্যপালের রাজভবনে ফেরা নিয়ে সুকান্ত বলেন সবটাই নির্ভর করছে তার কর্মসুচীর উপর। তিনি একটা সিডিউল মেনটেন করে চলেন। তবে আমি তো তার সিডিউল বলতে পারব না। আশাকরি তিনি তার সইডিউল মেনেই ফিরবেন। পাশাপাশি উপাচার্য্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের গাইড লাইন মোতাবেক তিনি সার্চ কমিটি গঠনের মধ্যমে উপাচার্য্য নিয়োগ করার প্রক্রিয়া করন করতে চাইছেন।কিন্তু রাজ্য সরকারের শাসক দল বিশ্ববিদালয় থেকে বিপুল পরিমান কাটমানি খাওয়ার জন্য নিজেদের পেটোয়া লোক বসাতে না পারার জন্য এই সার্চা কমিটির বিরোধিতা করছে বলে সুকান্ত অভিযোগ জানান।তিনি উত্তরবংগ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃনমুলের প্রাক্তন এক উপাচার্য্যের ব্যাপক দুর্নীতিই তার প্রকৃষ্ট উদাহরন বলে জানান।রাজ্য বিজেপির সভাপতি এও বলেন রাজ্যের কলেজ গুলোর পরিবেশের হাল বামেদের শেষ থেকে শুরু হয়েছিল এখন তা চরম পর্যায়ে চলে গেছে। এখন কলেজগুলি থেকে যৌন্য উৎপিড়নের অভিযোগ পাওয়া যায়।এমনিতেই পুরো শিক্ষা দপ্তরটাই জেলে রয়েছে, তাহলেই বুঝে নিন স্কুল থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃনমুল রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থ্যার হাল কি করে ছেড়েছে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি আরো বলেন তৃনমুলের এই নাটক তারা কদিন আগে দিল্লিতে দেখলেন। সেখানে যারা ছিলেন তারা তো সব দলীয় নেতা মন্ত্রীকর্মী সমর্থক।ছবিতে দেখলাম গৌড়বংগ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে খুব লম্ফঝম্প করতে। তার বেতন দেড় লাখ টাকা, সে গেছে সেখানে।একে নাটক ছাড়া আর কি বলবেন আপনারা, বলে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
এর পাশাপাশি তৃনমুলের রাজভবন কর্মসুচী নিয়ে তিনি কলকাতা পুলিশকে তুলোধুনা করে বলেন ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও কি ভাবে সেখানে পুলিশ এই ধর্না করতে দিচ্ছে।তিনি প্রশ্ন তোলেন এরপর তারা সেখানে ধর্না করতে চাইলে পুলিশকে অনুমতি দিতে হবে নইলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। সুকান্তর অভিযোগ ভারতবরতষের আইনকি দুজায়গার জন্য আলাদা ভাবে রচিত হয়েছে নাকি ? যে ১৪৪ ধারা থাকা সত্বেও ধর্না দেওয়া যাবে ? এর শেষ দেখেও ছাড়বেন বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
অপরদিকে গতকাল ও আজও কোথাও কোথাও পুরদুর্নীতি নিয়ে ইডির অভিযান চলা প্রসংগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, প্রত্যেকটি পুরসভায় দুর্নীতি হয়েছে। পুরদুর্নীতি নিয়ে শুধু চুনোপুটি ধরলে হবে না এই হীরক মন্ত্রী সভার মন্ত্রী সান্ত্রীএরও গ্রেফতার করে জেলে পুরতে হবে বলে তিনি দাবি করেন।
কালনার বিধায়ক তার বিরুদ্ধে নোটিশ দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্তর দাবি আগে তিনি তার বিরুদ্ধে ফুলে ফেপে ওঠা সম্পত্তির হিসাব দিন।তারপর নোটিশের কথা