সিকিমের লাচেনে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ বিষ্ণুপুরের এক ইঞ্জিনিয়ার।

0
116

আবদুল হাই,বাঁকুড়া:- একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থায় কাজ করতে করতে গিয়ে সিকিমের লাচেনে আটকে বাড়ির ছেলে। তিনি পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। শেষ কথা হয়েছিল ডিসেম্বরে বাড়ি আসছি তারপর থেকে বাকিটা এখনো অব্দি ইতিহাস। সিকিমের লাচেন প্রদেশে সেদিনের বিপর্যয়ের পর থেকে টেলিফোনে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগও করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় দিন কাটছে বাঁকুড়ার দ্বারিকা গ্রামের শেখ সুমনের পরিবারের।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের দ্বারিকা গ্রামের বাসিন্দা ছোটবেলায় তার মা বাবাকে হারিয়েছে। মানুষ হয়েছে তার জেঠু এবং জেঠুিমার কাছে।সুমন ছোট থেকেই মেধাবী ছিল বলেই তার পরিবার সূত্রে খবর। সুমন উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর বিষ্ণুপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে সিভিল বিভাগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। পাশ করার অল্পদিনের মধ্যে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পান। প্রথম পোস্টিং হয় ওড়িশায়। সেখান থেকে মাস পাঁচেক আগে সিকিমের লাচেনে একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার কাজে যোগ দেন।

প্রায় প্রতিদিনই একবার হলেও পরিবারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতেন সুমন। গত শনিবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময় সুমন জানান সিকিমে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জেরে আপাতত সংস্থার কাজ বন্ধ থাকায় বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। সেই শেষ কথা। তারপর থেকে আর যোগাযোগ হয়নি সুমনের সঙ্গে। টেলিফোন বন্ধ রয়েছে তখন থেকেই। বিষ্ণুপুর থানা থেকে শুরু করে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও আর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

ফলে একরাশ উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় আপাতত সুমনের একটি ফোনের অপেক্ষায় সুমনের পরিবার। সুমনের দিদি সীমা বিনি জানান“ সিকিমে আমরা বন্যা দেখেছি তাই প্রচন্ড দুশ্চিন্তা আমাদের হচ্ছে,একটা ফোন পেলেই দুশ্চিন্তা কেটে যাবে।”

তাহলে কি পশ্চিমবাংলায় কাজের অভাবে সুদূর সিকিমে পাড়ি দিতে হয়েছিল বছর ২৪ এর এই ইঞ্জিনিয়ারকে? সেই বিষয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পশ্চিমবাংলায় কর্মসংস্থানের হাল যথাযথ হলে পাড়ি দিতে হতো কি এই যুবককে অন্য রাজ্যে কাজের উদ্দেশ্যে বা হতোই বাড়ির ছেলের চিন্তায় পরিবারের লোককে দিন কাটাতে।

সিকিমে কাজ করতে গিয়ে দুদিন খোঁজখবর ছিল না বাড়ির ছেলের। দুদিন পর যোগাযোগ করলে স্বস্তিতে বাড়ির লোক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে সিকিমে সেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিষ্ণুপুরের শেখ সুমন লাচুং এলাকায় কাজ করতেছে। এই খবর জানাজানি হতেই তার বাড়িতে আশ্বাস দিলেন বিষ্ণুপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে রেসকিউ করে বাড়ি আনার