নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- স্বামীর কষ্টার্জিত অর্থ দিনের পর দিন না জানিয়ে বিশ্বাস করে দেওয়া এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলে বড় ছেলেকে রেখে ছোট মেয়েকে নিয়ে চম্পট দিলো এক গৃহবধূ। যাওয়ার সময় অবশ্য বাবার শরীর খারাপ সেই কারণে দেখতে যাবার কথাই জানিয়েছিলো ওই গৃহবধূ। কিন্তু সারাদিন কেটে যাওয়ার পরেও খোঁজ মেলেনি তার। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের আশঙ্কায় থানার দারস্থ স্বামী।
ঘটনাটি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার বানপুর ৭৭ নম্বর রেলগেটের ঘটনা। গৃহবধূর নাম সুদীপা সরকার বিশ্বাস। তিনি আজ থেকে আট বছর আগে বীরগর ঘোরাঘাটা এলাকার মেয়ে। বিবাহ সূত্রে এসেছিলেন বানপুরে। স্বামী বাসুদেব বিশ্বাস কাঠের ছুতোর মিস্ত্রির কাজ করেন। স্বামীর এটিএম কার্ডের পাসওয়ার্ড জানার থাকার কারণে, চলতি সপ্তাহে প্রায় ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা তুলে আজ সকালে পলাতক ওই গৃহবধূগৃহবধূ। যার মধ্যে গতকাল একুশ হাজার এবং আজ সকালেও ১০ হাজার টাকা তোলার প্রমাণ মিলেছে ব্যাংকের বই থেকে। যাওয়ার সময় অবশ্য তিনি বাপের বাড়িতে অসুস্থ শশুরকে দেখতে যাওয়ার কথাই জানান শ্বশুরবাড়ির পরিবারে সদস্যদের। সাথে নিয়ে যান ছোট মেয়েকে যার বয়স আড়াই অন্যদিকে সাড়ে সাত বছরের পুত্রকে বাড়িতেই রেখে যান। বাসুদেব বিশ্বাস তার শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানতে পারেন, সেখানে তার স্ত্রী নেই এরপর বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন বাড়ি এবং অন্যত্র তন্নতন্ন খুঁজেও মেলেনি তার হদিস। অবশেষে কৃষ্ণগঞ্জ থানার দারত্ব হয়েছেন তিনি। তবে নিখোঁজের সাথে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।