জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা বালুরঘাটে।

0
541

নিজস্ব সংবাদদাতা-বালুরঘাটঃ- জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা বালুরঘাটে। সাধারণ সভা না করে বার্ষিক সাধারণ সভা কিভাবে হয় তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন একাধিক সদস্য। কমিটিকেই অবৈধ বলে দাবি তাদের। জেলার খেলাধূলা ক্ষেত্রে অন্যতম এই এই সংস্থা কোনো নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে চলা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, খেলাধূলার ক্ষেত্রে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ক্রীড়া সংস্থা অন্যতম। পদাধিকার বলে এই সংস্থার সভাপতি হন জেলা শাসক। সহ সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি পদাধিকারী রয়েছেন এই সংস্থায়। পাশাপাশি খেলাধূলা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের বিশিষ্ট মানুষজন নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত হয়ে থাকে। বর্তমানে এই সংস্থার পরিচালন কমিটির কার্যকরী সভাপতি অমর সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ (দুলু)। এরা অবশ্য নির্বাচিত। এমূহূর্তে এই সংস্থার পরিচালন কমিটি রয়েছে ৩৫ জনের। তবে সদস্য সংখ্যা তিন শতাধিক। রবিবার রাতে এই সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছিল। সেই সভাতে অবশ্য ছিলেন না জেলা শাসক কিংবা পুলিশ সুপারের মত পদাধিকারীরা। সেই সভাতেই চরম বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রতিবাদকারীদের ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। শোরগোলের মধ্যে কার্যত বানচাল হতে দেখা যায় সভা। তিনবছর অন্তর সাধারণ সভার মধ্যে দিয়ে কমিটি পরিবর্তন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি বলে দাবি একপক্ষের। প্রতিবছর বার্ষিক সাধারণ সভা হওয়ার নিয়ম থাকলেও তা হয়নি বলে অভিযোগ। এনিয়েই প্রশ্ন ওঠে কমিটির বিরুদ্ধে। ক্ষোভ উগড়াতে দেখা যায় কমিটির কার্যকলাপ নিয়ে। যা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকাশ পেতেই নিন্দার ঝড় শুরু হয় জেলা জুড়ে। একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্থা দায়বদ্ধতা নিয়ে শোরগোল পরে গিয়েছে।
জেলা বিশিষ্ট প্রাক্তন ফুটবলার তথা এই সংস্থার সদস্য শিবেন্দ্র নাথ লাহা বলেন, তিনবছর অন্তর সাধারণ সভার মাধ্যমে কমিটি পরিবর্তন হওয়ার নিয়ম। কিন্ত তা না হয়ে চারবছর পর বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী এই কমিটিই অবৈধ বলে আমরা মনে করি। ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত চার বছরের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে, যা নিয়ম বর্হিভূত। সাধারণ সভা আগে করতে হবে এই দাবি আমাদের। শিবেন্দ্র বাবু সহ অনান্য সদস্যদের কথায়, এই কমিটি অনুষ্ঠান ভবন ভাড়া দিতেই ব্যস্ত। নিয়মিত পিকনিক চলে। অথচ নেই ফায়ার এবং ফুড লাইসেন্স। কমিটিতে গেড়ে বসাদের হঠিয়ে নয়া কমিটি তৈরির দাবি আমাদের।
অন্যদিকে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ বলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি। বাই-ল অনুযায়ী সব হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভার দিনক্ষণ নিয়ে পরিচালন কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পূর্বতম কমিটি যাওয়ার আগে ব্যাকলগ ঠিক করে যায়নি। সেটা করা হচ্ছে, যাতে নয়া কমিটি আসলে কোনো সমস্যায় না পরে। এছাড়া কোভিডের কারণে একবছর পিছিয়ে যায় আমরা। অমিতাভ বাবুর কথায়, আমাদের নিয়ম অনুসারে আগে বার্ষিক সাধারণ সভা এবং পরে সাধারণ সভা করতে হয়।