কান্দুয়ায় মহা পঞ্চমী তিথিতে মহারাজ এবং বিধায়িকার উপস্থিতিতে উদ্বোধন হলো প্রতিমা।

0
378

প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : মহা পঞ্চমী তিথিতে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় দুর্গাপূজা উদ্বোধন হলো মহা ধুম ধামের সহিত। তেমনি হাওড়া জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কান্দুয়া অঞ্চলে রয়েল মিলন সংঘের পরিচালনায় দুর্গাপূজার উদ্বোধন হলো রামকৃষ্ণ মিশন মহারাজ উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে। মহারাজ প্রদীপ হাতে ঘন্টা বাজিয়ে মায়ের আরতি দিয়ে উদ্বোধন করলেন দুর্গা প্রতিমা। দেখতে দেখতে রয়্যাল মিলন সংঘের পরিচালনায় ৩৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল দুর্গোৎসব । শুভ মহা পঞ্চমী তিথিতে উদ্বোধন হলো দুর্গা প্রতিমা স্বামী ব্রজেশ্বর আনন্দ জি মহারাজের হাত দিয়ে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে । রয়েল মিলন সংঘ ক্লাবের পক্ষ থেকে পঞ্চমীর সকালে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রতিযোগিতায় যে সকল সফল ছাত্রছাত্রীরা প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে তাদের হাতের শংসয়পত্র তুলে দেয়ার জন্য সন্ধ্যায় সান্ধ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এই পূর্ণ মহা পঞ্চমী তিথিতে মহারাজের উপস্থিত এবং সাঁকরাইলের বিধায়িকা প্রিয়া পালের উপস্থিতিতে মনোরম পরিবেশে সৃষ্টি হল পূজা মন্ডপে। সন্ধায় বস্ত্র বিতরণ এবং বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে দুর্গাপূজার সূচনা হলো । উপস্থিত ছিলেন সাঁকরাইল এর বিধায়িকা প্রিয়া পাল, সাঁকরাইল থানার IC বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সমাজসেবী অমৃত বোস, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এবং পঞ্চায়েত সমিতি কর্মাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন। কান্দুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রণয় কাড়ার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পুজো কমিটির কর্মকর্তাগণ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মশারিও দান করা হয় দুস্থ ব্যক্তিদের হাতে । উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হল পঞ্চমীর মা দুর্গা আবাহন। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ মহারাজ এবং বিধায়িকা সকলকে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করলেন। মহারাজের মুখে ধর্মীয় বাণী শ্রবণ করলেন মনোযোগ সহকারে দর্শকবৃন্দরা। এছাড়াও দুস্থদের হাতে পূজার নতুন বস্তু তুলে দেয়া হয় পূজা কমিটির পক্ষ থেকে। পূজা কমিটির কর্মকর্তারা জানালেন দুর্গাপুজোর এই চার দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজা মন্ডপ পরিপূর্ণতা লাভ করবে।