নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বাংলাদেশের পাবনা জেলার ভূপেশচন্দ্র ভট্টাচার্য। সংসার পরিত্যাগ করে হিমালয় ভ্রমণে গিয়ে হলেন নাগা সন্ন্যাসী। নারায়ণ চন্দ্র সরকারের আমন্ত্রণে পা রাখলেন নদিয়া বহিরগাচি শান্তিনগর গ্রামে। তৈরি হল শান্তি আশ্রম। আর সেইসঙ্গেই বাংলাদেশে শুরু হওয়া কালো দুর্গার পুজো যেন পুনর্জন্ম পেল এই গ্রামে।দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেছিলেন ভূপেশচন্দ্র বাংলাদেশে। একবার পুজোর আগে দেবীর মৃত্তিকা দেহে রংয়ের প্রলেপ চড়াতে গিয়ে ঘুমের ঘোরে কালো রং ঢেলে দিয়েছিলেন মৃৎশিল্পী। এরপর জমিদারের ভয়ে তিনি রং মোছার হাজারো চেষ্টা করলেও সফল হন নি। দেবী তখন নাকি জমিদারকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে এই রূপেই পুজো করতে বলেন। আর তখন থেকেই দশভুজা এখানে কালো দুর্গা। শান্তিনগরে এসে আমৃত্যু কালো দুর্গার আরাধনা করে গিয়েছেন সত্যানন্দ গিরি একচালার দুর্গাপ্রতিমা তৈরি হয় পাশের অন্য একটি গ্রামে। ষষ্ঠীতে বোধন হয় মায়ের। এখানে কালো দুর্গা পূজিত হন সম্পূর্ণ তন্ত্রমতে। অষ্টমি, নবমী তে মৎস্য ভোগ অন্ন ভোগ দেওয়া হয়।
Home ওপার বাংলা বাংলাদেশে শুরু হওয়া কালো দুর্গার পুজো পুনর্জন্ম পেল নদিয়া বহিরগাচি শান্তিনগর গ্রামে।