পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:– তিনি আসবেন, তিনি আসবেন। তিনি আসছেন, তিনি আসছেন।
চারিদিকে কত প্রস্তুতি, কত পরিকল্পনা,
কত ভাবনা, দিনভর আলোচনা। আকাশে বাতাস মুখরিত হয় উমার আগমনী গানে, কথায়, বর্ণময় আয়োজনে। বাংলা ছাড়িয়ে যেখানেই বাঙালি সেখানেই বাঁধনছেঁড়া উচ্ছাস উন্মাদনার আবেগ আছড়ে পড়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের মত। তিনি এসেছিলেন। মেতে উঠে ছিল ভুবন নবমী নিশি অতিক্রান্তের পর তার এবার ফেরার পালা। আজ বিজয়া দশমী। বিজয়া দশমী মানেই মন খারাপের দিন। এই দিনে ঘরের মেয়ে উমা তার বাপের বাড়ি ছেড়ে পুনরায় পাড়ি দেন কৈলাসে। স্বভাবতই মন খারাপ থাকে আপামর বাঙালির। কেউই চায় না উমা কে বিদায় দিতে। কিন্তু কালের নিয়মে মা দুর্গাকে বিদায় জানাতেই হবে, ফিরতে হবে কৈলাসে। তাই চোখে জল, হাজারো মন খারাপের মাঝে হাসি মুখে সিঁদুর খেলা ও মিষ্টি মুখ করার মাধ্যমে উমাকে বিদায় জানান সকলে। কারণ, মা দুর্গা দেবী রূপে পূজিত হলেও, বিদায় নেন কন্যা রূপে। এদিন আরো বহ মন্ডপের সাথে কোলাঘাট নতুন বাজারের একটি মন্ডপে দেখা গেল নজরে পড়ার মত বিজয়া দশমী উদযাপন। সকাল হতেই মন্ডপে জমায়েত হন উৎসবে মাতোয়ারা বহু মানুষ। বিজয় দশমীর পূজার সাথে মেতে ওঠেন ঢাকের তালে ধুনুচি নৃত্য। ঢাকের বোলে বেজে ওঠে “ঠাকুর থাকবে কতক্ষন, ঠাকুর যাবে বিসর্জন”। মেয়েরা একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে দেন। সমান তালে চলে মিষ্টি মুখের পর্ব। সব মিলে হয়ে ওঠে বর্ণময় বর্নাঢ্য বিজয়া দশমী কোলাঘাট নতুন বাজারের এই মন্ডপে।