নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গতকাল সন্ধ্যায় রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার শান্তিপুর ব্লকের আড়বান্দী-২ অঞ্চলের আড়পাড়া গ্রামের বিজেপি বুথ কর্মী অধীর সরকারকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা এমনই দাবি তুলে হাসপাতালে তার মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
আজ ভারতীয় জনতা পার্টি মন্ডল ১ এর সভাপতি তথা শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি সহকারি সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে দীর্ঘ এক ঘন্টা ধরে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে।
তাদের দাবি, শান্তিপুর থানায় পার্টির কার্যকর্তাদের ওপর গতকাল পুলিশের আক্রমণ হয়েছে। শুধু তাই নয় খুনের প্রধান ধারা ৪০২ ধারার বদলে অনিচ্ছাকৃত ভাবে খুন হিসাবে ৪০৪ লঘুধারা রুরুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূলকে বাঁচাতে এই কাজ হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে। গোকুল সরকার কে গ্রেফতার করলেও আনন্দ সরকার এখনো অধরা । তাকে ধরার দাবিতে এবং অবিলম্বে ৪০২ ধারায় মূল অভিযুক্তর বিরুদ্ধে রুজু করার দাবিতে তাদের এই বিক্ষোভ চলে।
এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি তথা বিজেপির মন্ডল একের সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী জানান, ময়নাতদন্ত আজ দুপুরে হবে জেনেও নিয়ম অনুযায়ী মৃতদেহ হাসপাতালে চার ঘন্টা থাকার বদলে পুলিশ প্রশাসন গতকাল রাতে তড়িঘড়ি থানায় নিয়ে আসে। সেখানে পৌঁছালে এসসি মোর্চার জেলা সম্পাদক অংকন দাসসহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মকর্তা এমনকি তাকেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মারধর করার অভিযোগ তোলেন চঞ্চল বাবু। তবে এতে তাদের কোন আক্ষেপ নেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেনে নিতে পারেন কিন্তু শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে বলে একজন নিরীহ বিজেপি কর্মীকে খুন করার বিরুদ্ধেই তাদের এই প্রতিবাদ । বিষয়টা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও তৎপর রয়েছেন বলেই তিনি জানিয়েছেন।