নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- চাকদহ ব্লকের লক্ষ্মী পূজা রাজ্য দেশ তথা বিদেশে আলোচিত।আজ থেকে প্রায় আশি বছর আগে পূর্ববঙ্গে ঢাকার কিছু মানুষ ভারতের নদিয়া জেলার চাকদহ ব্লকে বসবাস শুরু করে।তারাই দেশ থেকে আসার সময় তাদের গৃহলক্ষ্মী কে নিয়ে এসে হিঙনাড়া জিপির দরাপপুর,ভল্লবপুর,হরিআঁখি,দেউলি জিপির চৌগাছা তে অঞ্চলে পূজো শুরু করে।কল্যানী বা কলকাতায় দূর্গা পূজা কে নিয়ে মাতোয়ারা ঠিক সেই জায়গায় দাড়িয়ে ছোট বড়ো মিলিয়ে শদেড়েক লক্ষ্মী হয়। এছাড়াও প্রতিটি ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পূজো হয়।দূর্গা পুজোই যেমন আত্মীয় স্বজন দেশ বিদেশ থেকে বাড়িতে আসে নতুন জামা কাপড় পরে সারা রাত ঠাকুর দেখে ঠিক তেমনি লক্ষ্মী পুজোই বাংলাদেশের ঢাকা,ত্রিপুরা,রাজ্যের মধ্যে জলপাইগুড়ি,কুচবিহার,দিনাজপুর সহ সারা রাজ্যের মানুষ এই ছয়দিন এসে নতুন পোষাক পরে ঠাকুর দেখতে বের হয়। জানালেন হিঙনাড়া গ্রামের বাসিন্দা নিত্যানন্দ বৈরাগী।প্রত্যেক বাড়িতে পিঠাপুলি,ছাতু ওনাড়ু হবে এবং অতিথিদের হাতে তুলে দেবে।গরীব ধনী সবার ঘরে লক্ষ্মী পূজা হয়।দরাপপুরের মেলা কমিটির সহ সম্পাদক অজয় দাস বলেন,চাকদহ ব্লকের এই অঞ্চল টা এখন লক্ষ্মী পূজোর জন্য সবাই চেনে।দূর্গা পুজোর জন্য কল্যানী কলকাতা কে চেনে তেমনি লক্ষ্মী পূজোর জন্য দরাপপুর,ভল্লবপুর,হরিআঁখী চৌগাছা চেনে।দূর্গা পূজোর প্যান্ডেল ভেঙে তবেই লক্ষ্মী পূজোর প্যান্ডেল হয়। এই টা নিয়ে আমাদের সমস্যা ফলে লক্ষ্মী পূজোর দিন শুধু পূজো টা করে নিই পরের দিন থেকে অতিথি আপ্যায়ন করি। দুদিনের মেলা বসে।মূলত কৃষকশ্রেনীর পূজো। নতুন ধান ওঠে,এই সময় সেই ধানই লক্ষ্মীর চরণে দিয়েই তাদের চাষের কাজ শুরু করে।