আবদুল হাই,বাঁকুড়াঃ- বাজার থেকে কিনে আনা পেঁপে কাটতে গিয়েই বিপত্তি! পেঁপের ভীতর আস্ত আর একটা পেঁপে! আর যা দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ ইন্দসের গোবিন্দপুর গ্রামের কর্মকার পরিবারের সদস্যদের। আর এই পুরো বিষয়টি মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই এলাকায় অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কর্মকার পরিবার সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো স্থানীয় বাজার থেকে শাক সব্জী কিনে আনা হয়, আজ ওই তালিকায় থাকা পেঁপে রান্নার আগে কাটতে গিয়েই হতবাক্ সকলে। পেঁপের ভীতর আস্ত আর একটা পেঁপে! দীর্ঘ ৫২ বছরের জীবনে এই ঘটনার সাক্ষী এই প্রথম! বলছেন ওই পরিবারের সদস্যা, বাড়ির বড় মেয়ে বকুল কর্মকার।
অবাক গৃহবধূ সুমনা কর্মকারও। তিনি বলেন, বাজার থেকে দু’টো পেঁপে আনা হয়েছিল, দু’টোর ভীতর থেকেই দু’টো পেঁপে পাওয়া যায়। এই ঘটনা তার কাছে যথেষ্ট আশ্চর্যজনক ঠেকেছে বলে তিনি জানান।
তবে এই বিষয়টি মোটের অবাক করার মতো কিছুই নয়, বলছেন উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এটাকে বলে ‘ফ্রুট ডিফর্মেশান’। মূলত ফুলের পুংকেশর ও গর্ভকেশরের গঠনগত বিচ্যুতির ফলেই এই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। পুংকেশরের এই ধরণের অস্বাভাবিক আচরণকে বলা হয় ‘পুংকেশরীয় গর্ভপত্রায়ন’। মূলতঃ পরিবেশগত কারণে মাটি ও বায়ু মণ্ডলের আদ্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাটির নাইট্রোজেন বৃদ্ধি পায়। ঠিক তখনই পেঁপে ও ওই জাতীয় ফুলের মোট ১০ টি পুংকেশরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি গর্ভপত্রে রুপান্তরিত হয়ে প্রধান ডিম্বাশয়ের গায়ে অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত হয়ে পড়ে। যার ফলশ্রুতিতেই পেঁপের ভীতর পেঁপের সন্ধান মেলে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।