দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- সামনেই দীপান্বিতা অমাবস্যা কালীপূজো এবং বোল্লা কালীপূজো আসছে। তাই বালুরঘাট এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে যে হাট রয়েছে, তাতে পাঁঠা এবং ছাগলের চাহিদা বাড়ছে। প্রত্যেকটি হাটেই বাড়ছে বিক্রেতাদের ভিড়। এর সাথে সাথে ক্রেতারা লাভের আশায় হাট গুলিতে আসছেন।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেল অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে পাঁঠার চাহিদা কিছুটা কম। ক্রেতাদের মতে দুটো কারণে এবারে পাঁঠার বাজার অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনগুলো বারবার বলি বন্ধের পক্ষে জোরদার সওয়াল করছেন তাই বলি কম হচ্ছে বলে তাদের মত। তবে হাটে ঘুরে দেখে মনে হচ্ছে পাঁঠার চাহিদা রয়েছে।
বালাপুরের হাটে পাঠা বিক্রি করতে আসা ইমরুল কায়েস বলেন, আমি প্রত্যেক বছর বালাপুর হাটে পাঁঠা এবং ছাগল বিক্রি করতে আসি। বিভিন্ন দামের পাঁঠা এবং ছাগল এখানে বিক্রি হয়। সাধারণত ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঁঠা বিক্রি হয় এখানে। সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা দামের পাঁঠাও আমি এখান থেকে বিক্রি করেছি। তবে এবারে পাঁঠার চাহিদা কিছুটা কম বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন হতে পারে বলি কমে যাওয়ার জন্য পাঁঠার চাহিদা কম বা হতে পারে জনসাধারণের হাতে টাকা পয়সা কম থাকার জন্য পাঠা বিক্রি কম হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন কালীপুজোর আগে এই মন্দা ভাব কেটে যাবে এবং পাঠা বিক্রি যথেষ্টই হবে।
লক্ষীপুর থেকে আসা আরেক বিক্রেতা আশাবুল হোসেন বলেন, এবারে পাঁঠা বিক্রি ভালো হলেও গত বছরের তুলনায় কম হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, হতে পারে লোকের হাতে অর্থের অভাব। কারণ কিছুদিন আগে বৃষ্টি এবং বন্যার জন্য ধান এর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। তাই হয়তো বিক্রি কম। তবে কালীপূজো বা বোল্লা কালীপুজোর আগে বিক্রি তে জোয়ার আসবে বলে তিনি বলেন। হাটে বিভিন্ন দামের পাঁঠা বিক্রি হয়। মোটামুটি ৪০০০, ৫০০০ বা ১০০০০টাকা মূল্যের পাঁঠা আমি বিক্রি করেছি।
বালুরঘাট থেকে বালাপুর হাটে পাঁঠা কিনতে আসা হরিপদ দাস তিনটি পাঁঠা কিনেছেন। তিনি বলেন বাজারে পাঁঠার চাহিদা রয়েছে। তার তিনটি পাঠার জন্য দাম পড়েছে যথাক্রমে ৪০০০, ৪২০০ এবং ৫০০০ ঢাকা। তিনিও বলেন বলি লোকে এখন কম দিচ্ছেন, তাই পাঁঠার বাজার খুব একটা জমে নি। তবে দুই একদিনের মধ্যে বাজার জমে যাবে বলে তিনি বলেন।