নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা,০৪ নভেম্বর :— নিয়ম বহির্ভূতভাবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বকশির আত্মীয়, তথা মহিলা তৃণমূল ব্লক সভা নেত্রীর স্বামীকে রেশন ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ।উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরেও রেশন ডিলারশিপ উপযুক্ত আবেদনকারীনকে ইস্যু করতে বিলম্ব করার অভিযোগ জেলা খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের বিরুদ্ধে। শাসক দলের চাপে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এক আবেদনকারী। যদি আদালতের নির্দেশ মতো দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিক। ঘটনাটি মালদা রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের সাহাপুর এলাকার। আর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
২০২২ সালে ৩ এপ্রিল রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতে সাহাপুর এলাকায় রেশন ডিলারশিপের জন্য আবেদন পত্র চাওয়া হয় খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের তরফ থেকে।২৪ শে এপ্রিল আবেদন করার শেষ দিন ধার্য করা হয়।সেই সময় শেখ আতাউর নামে এক যুবক রেশন ডিলারশিপের জন্য আবেদন করেন।তার অভিযোগ ২৪ এপ্রিল আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন থাকলেও ২৮ এপ্রিল রেশন ডিলারশিপের জন্য আবেদন করেন রতুয়া-১ নম্বর ব্লক মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী রুকসানা পারভিনের স্বামী আফসার আলী। জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির আত্মীয়। এমনকি আফসার আলী এই ডিলারশিপ পান। এরপরই কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন শেখ আতাউর।সিঙ্গেল বেঞ্চ তার পক্ষে রায় দিলেও,সেই রাই কে কার্যকর করতে বিলম্ব করে জেলা খাদ্য দপ্তর বলে অভিযোগ। এরপর তৃণমূল নেত্রীর স্বামী ডিভিশন বেঞ্চ এর দ্বারস্থ হন। ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায় বহাল রাখে। সেখানে দু,মাসের মধ্যে সিঙ্গেল বেঞ্চের রাইকে কার্যকরী করা নির্দেশ দেন।কিন্তু এরপরেও সেই রায় কার্যকরী করতে বিলম্ব করছে খাদ্য দপ্তর বলে অভিযোগ। এমনকি নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রভাবশালীকে রেশন ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
যদিও এই বিষয়ে আফসার আলীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দিতে চাননি।
জেলা খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিক মানিক সরকার বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশের কপি আমরা হাতে পেয়েছি। আদালত যা রাই দিয়েছে তা কার্যকরী করা হবে।
আর এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, তৃণমূলের সবকিছুতেই দুর্নীতি আছে। একাধিক নেতা জেলে আছে বাকিদেরও জেলে যাওয়া উচিত।
এই বিষয়ে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন,এই ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোন যোগ নেই।আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করবেন।