নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাটঃ- এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসল্মান কাজি নজরুল ইসলাম এর এই কথা বাস্তবায়ন দেখা যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের আজমত পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মনোহলি গ্রামে। গ্রাম বাংলার সর্বধর্ম সমন্বয়ের পরম্পরার হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির চিত্র দেখা যায় দক্ষিন দিনাজপুর জেলার তপনের আজমতপুরে।
দ্বীপান্বিতায় শ্যামা পুজার পাশাপাশি পীর সাহেবের সমাধীতে দুই সম্প্রদায়ের মানুষজন নিজ নিজ ধর্মীয় আচার আচরনের রীতিতে তাদের অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন।
১০০ বছরের উপর ধরে চলা এই রীতি মেনেই উভয় সম্প্রদায়ের মানুষজন আজও তপনের আজমতপুরে এই কালী পুজো চালিয়ে আসছেন।
স্থানিওরা জানিয়েছেন এই গ্রামে তাদের বাপ ঠাকুর্দার মুখ থেকে শোনা তথ্য অনুসারে গ্রামের কালী পুজো মন্ডপের পাশেই রয়েছে পীর বাবার সমাধি।আর সেখানেই
কালী পুজোর সময় যখন মায়ের সামনে বিভিন্ন মানুষের মানসি পাঠা বলি দেওয়া শুরু হয়।ঠিক তখন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন পীরের সমাধীতে সিন্নি চড়ানোর পাশাপাশি কলমি পড়েন। যতক্ষন পাঠাবলি শেষ না হচ্ছে ততক্ষন তাদের ও অনুষ্ঠান চলে থাকে। তারপর তারা খাওয়া দাওয়া সেরে ফিরে যান। সেই প্রথা ও রীতি মেনে আজও আজমতপুরের এই গ্রামে দ্বীপান্বিতায় কালী পুজো সর্বধর্ম সমন্বয়ের মধ্যমেই হয়ে আসছে।যা এই জেলার সম্প্রীতির এক গর্ব।এবারও তার ব্যাতিক্রম হচ্ছে নাবলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।