মহিষাদল, নিজস্ব সংবাদদাতা: মহিষাদল ব্লক উন্নয়ন বৈঠকে মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তীকে ডাকা হলেও ডাকা হয়নি স্থানীয় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। তাই বৈঠকে যোগ দিলেন না বিজেপির প্রধানরা।
সোমবার মহিষাদল ব্লকের অডিটোরিয়ামে ব্লক উন্নয়নের বৈঠক ডাকা হয়েছিলো। সেই বৈঠকে স্থানীয় বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি,কর্মাধ্যক্ষ, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্রধানদের ডাকা হয়েছিলো। ডাকা হয়নি তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা রঘুনাথ পন্ডাকে। সাংসদকে না ডাকায় এদিন বৈঠকে যোগ দিলেন না বিজেপি পরিচালিত পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা।
এবিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী জানান, ব্লক উন্নয়নের বৈঠকে কাকে কাকে ডাকা হবে তা ঠিক করে বিডিও। সেখানে আমার কি বলার আছে। তাছাড়া সাংসদকে এলাকার উন্নয়নে দেখা যায় না। তৃণমূলের সাংসদ ওঁদের এতো জ্বালা কিসের। এলাকার উন্নয়ন দেখে সহ্য করতে পারছে না তাই এই ধরনের মন্তব্য করে চলেছে।
ইটামগরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাসের অভিযোগ, আগে বৈঠকে স্থানীয় বিধায়ককে ডাকা হতো না। এখন ডাকা হচ্ছে। ডাকা হোক তাহলে স্থানীয় বিধায়ককে কেনো ডাকা হবে না। নিয়ম মেনে বৈঠক না হওয়ায় আমরা বৈঠক বয়কট করেছি। যতদিন না নিয়ম মেনে বৈঠক হবে আমরা যোগদান থেকে বিরত থাকবো।
মহিষাদলের বিডিও বরুনাশীষ সরকার বলেন, পঞ্চায়েত সমিতি মনে করেছে যাদের ডাকার তারা ডেকেছে। আমি নতুন এসেছি পুরো ব্যাপারটা জানা নেই।তবে সকলকে নিয়ে বৈঠক করলে ভালো হতো। এদিন ওদের চারজন প্রধান এসেছিলো। তাদের দলিয় কর্মসূচি থাকায় বৈঠকে যোগদান না করে চলে গিয়েছে।