রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের উন্নয়ন হল না!

0
268

নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- পেশায় মৃৎশিল্পী। তৈরি করেন মাটির বিভিন্ন সামগ্রী। জানা গিয়েছে, ১৯৬২ তে বিহার ছেড়ে আস্তানা গেড়ে ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের শিশুবাড়িতে। রেলের এক চিলতে জমিতে ঘর করে পাঁচ ভাই মিলে হাতে মাটির সামগ্রী তৈরি করে দিব্যি চলছিলেন। সে সময় মাটির সামগ্রীর চাহিদা ছিল সমগ্র ডুয়ার্স জুড়ে।তাদের মাটির সামগ্রীর বিক্রি হতো ডুয়ার্স প্রায় প্রতিটি হাটে। বিশেষ করে পূজার মরসুমে দিপাবলিতে তাদের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে।তাদের তৈরি মাটির প্রদীপে দীপাবলির রাতে আলোকিত হতো শ্রমিক মহল্লাগুলি। এছাড়া দেবালয় কিংবা গৃহস্থের ঘরে ঠাঁই পেত তাদের হাতের তৈরি প্রদীপ। তবে এসুখ আর বেশিদিন স্থায়ী হল না। ডিজিটাল যুগে বাজার চেয়ে ফেলল বিকল্প বৈদ্যুতিক সামগ্রী। ফলে শুরু হল অন্ধকার যুগ। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গেলেন তারা। টান পড়ল পুঁজিতে।রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের উন্নয়ন হল না। মেলেনি কোন সরকারি সাহায্য। একদিকে বিকল্প সামগ্রীর বাজার অপর দিকে পুঁজিতে টান। দুইয়ের চাপে উন্নয়নের বাংলা ছেড়ে ফের দেশে ফেরার বাসনা হল। এখনো যাননি তবে যাবার কথা ভাবছেন মৃৎশিল্পী অবোধ বিহারী পন্ডিত ও শংকর পন্ডিতেরা।