পরিবেশ রক্ষার্থে গাছকে ফোটা দিয়ে এক অনন্য পরিবেশ বার্তা দিলেন নদীয়ার যুগোবার্তা পরিবার।

0
279

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গাছের কপালে দিলাম ফোটা গাছ দস্যুদের দুয়ারে পরলো কাটা, যমুনা দেয় যমকে ফোটা আমি দিই আমার সুরধ্বনি নদীর তীরে গাছ ভাইকে ফোটা। এই এই মন্ত্রেই পরিবেশ রক্ষার্থে গাছকে ফোটা দিয়ে এক অনন্য পরিবেশ বার্তা দিলেন নদীয়ার যুগোবার্তা পরিবার।

আজ নদীয়ার যুগবর্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নদীয়ার শান্তিপুর অদ্বৈত পাটের কাছে সুরধ্বনি নদী খননের স্থানে অভিনব এক ভাতৃদ্বিতীয়ার আয়োজন করে। যদিও এর আগে বেশ কয়েক বছর যাবৎ তারা গাছফোঁটা ,বোনফোঁটা র ব্যবস্থা করেছিলেন তবে এবারের আয়োজনে তারা অতিরিক্ত উচ্ছ্বাসিত। কারণ বিগত এই ভ্রাতৃতীয়ার বিশেষ দিনে প্রতিটি হিসেবে গাছ দস্য দের হাত থেকে গাছ রক্ষা, মাটি হননকারীদের কাছ থেকে জমি রক্ষা, নদী ভরাট কারীদের কাছ থেকে নদীর রক্ষার কাতর প্রার্থনা করেছিলেন তারা। সাথে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চিঠিপত্র সহ নানান প্রতিকী আন্দোলনও। সকলের সমাগত প্রচেষ্টায় আজ বহু প্রাচীন ইতিহাস এবং ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ সুরধ্বনি নদী খননের কাজ শুরু হয়েছে। আর সেখানেই সকলে উপস্থিত হয়ে আজ ফোটা দিলেন তারা।
উপস্থিত ছিলেন নদীয়ার যুগ বার্তা সম্পাদক সঞ্জিত কাষ্ঠ, সাহিত্য পরিষদ সম্পাদক সুশান্ত মঠ, লেখিকা মেঘনা চট্টোপাধ্যায়, সহ অন্যান্য পরিবেশ কর্মী এবং স্থানীয় মানুষজন।
এ প্রসঙ্গে সঞ্জিত কাষ্ঠ বলেন, ভাতৃদ্বিতীয়ার থেকেও তাদের কাছে মূল্যবান পরিবেশ, তাই প্রতিকী হিসাবে আজকের এই আয়োজন। অবৈধ নদী ভরাট নির্মাণকারী, জবরদখল কারীদের হাত থেকে আবারও সুরধ্বনি নদী প্রবাহিত হতে চলেছে, এটা সকল শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন সাধারণ মানুষ পরিবেশ বিজ্ঞান কর্মীদের কাছে অত্যন্ত উদ্দীপনার। আগামী দিন এভাবেই সকলে মিলে গাছ নদী মাটি, রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মেঘনা চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রকৃতির রক্ষা যখন প্রকৃতি নিজে করে তা মানুষের ক্ষেত্রে বড় ভয়ানক হয়ে ওঠে। বরং তার থেকে প্রকৃতিকে তার মত থাকতে দেওয়াই ভালো।
সুশান্ত মঠ বলেন, বিজ্ঞানের বাস্তুতন্ত্র অনুযায়ী সকলের সঙ্গে সকলেই খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাই সুরধ্বনির এই প্রবাহিত জলে একদিকে যেমন বাস্তুতন্ত্র রক্ষা হবে তেমনি নদীর পাশে কৃষি জমি হয়ে উঠবে শস্য শ্যামলা মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হবেন । ৫০০ বছর আগের মতন গঙ্গা আবারও তার নিজস্ব গতিধারায় বইবে অদ্বৈতপাটের পাশ দিয়ে। বহিরাগত পর্যটকরা আরো তৃপ্তি পাবেন আগের থেকে।
স্থানীয়রা জানালেন, বিভিন্ন পুজোর পর মূর্তি ফেলতে যেতে হতো সুদূর গঙ্গায়, এবারে তারা সেখানেই নিরঞ্জন করেছেন, যদিও সম্পূর্ণ কাজ এখনো ঢের দেরী তবুও আনন্দের স্বাদ পেতে শুরু করেছেন এর মধ্যেই। অনেক পুণ্যার্থীদের দেখা গেলো অদ্বৈতপাটে যাওয়ার আগে সুরধ্বনি কে প্রণাম করতে।