ভাইফোঁটার জন্য এখন থেকে মিষ্টির দোকানে ভিড়।

0
235

নদিয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ভাইফোঁটার জন্য এখন থেকে মিষ্টির দোকানে ভিড়। অর্ডার দেওয়া ও মিষ্টি কেনা শুরু চলছে উৎসবের মরশুম , ঐতিহ্য আর উৎসব যেনো মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে নদিয়া । আসন্ন কালী পুজোর পরেই যে অনুষ্ঠানটির নাম করা যায় সেটা হলো ভাই ফোঁটা । আর ভাই ফোঁটা মানেই বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির সমাহার । ভাইয়ের জন্য দিদি বোনদের নানা ধরনের মিষ্টি তুলে দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা ।
সেই নানাবিধ মিষ্টির মাঝে নদিয়ার বিভিন্ন জায়গার মিষ্টি আনার চেষ্টা চলছে।শান্তিপুর নামের সাথে জড়িয়ে রয়েছে নিখুঁতির নাম । এই বিশেষ মিষ্টির রং পান্তুয়া এবং ল্যাংচার মতো , এবং এর আকৃতি অনেকটা হাতের আঙ্গুলের মতো । রানাঘাট মানে পান্তুয়া, বর্ধমান মানে সীতা ভোগ , কৃষ্ণ নগর নামের সাথে সরর্পুরিয়া।ইতিহাস বিশ্লেষণ করে বলা যাচ্ছে প্রায় দুশো বছর আগে শান্তিপুর শহরে নিখুঁতি নামের এই মিস্টি তৈরির শুভ সূচনা হয়েছিল । আবার রানাঘাটের
পান্তুয়া তৈরি হয়েছিল প্রায় 250 বছর আগে । কথিত আছে এই বিশেষ মিষ্টি তৈরির সূচনা হয়েছিল জমিদার পালচৌধুরি বাড়ী থেকে। বাচ্চাদের কান্না থামাতে মিষ্টি কারিগর কিছুটা ছানা তুলে নিয়ে নিজের হাতেই লেচি পাকিয়ে তেলে ছেড়ে দিয়ে সেটা রসে ছেড়ে দেই সেই থেকে পান্তুয়ার সূচনা।
পরবর্তী কালে এই মিষ্টির চাহিদা ও জনপ্রিয়তা এতটা বাড়তে থাকে রানাঘাটে সমস্ত মিষ্টি প্রস্তুত করোকেরা এই বিশেষ মিষ্ঠান্ন অর্থাৎ প্রস্তুত করতে থাকেন পান্তুয়া । রানাঘাটের বাইরে থেকে যারা আসেন এই মিষ্টি তারা বাড়ি নিয়ে যান আবার অতিথি আপ্যায়নের ক্ষেত্রেও এই পান্তুয়ার বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে । এই বছর উৎসবের মরশুমে এই পান্তুয়ার বিশেষ চাহিদা থাকছে বলে সাধারণভাবে মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ী রা জানাচ্ছেন। রানাঘাটের পন্তুয়া রাজ্য সহ দেশ ও বিদেশেও এই মিষ্টির জনপ্রিয়তা রয়েছে তাই ভাইফোটা উপলক্ষে পান্তুয়া বিক্রি বেশি ।রানাঘাটের মিষ্টি বিক্রেতা ভাইফোঁটা উপলক্ষে পন্তুয়া ছাড়াও মিষ্ঠিতে নতুনত্ব আনার চেষ্টা। এই বছর ভাইফোঁটাতে মানুষের আবেগ ও ইচ্ছা একটু বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাই নানা ধরনের মিষ্টি পসরা নিয়ে মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ী প্রস্তুত।