নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- হুবহু বিশ্বকাপের ট্রফি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন রানাঘাট গোপালনগর এর বাসিন্দা আনন্দ মালাকার। পেশায় তিনি একজন ঝালাইয়ের মিস্ত্রি। তার ইচ্ছে এই বিশ্বকাপের ট্রফি মোহাম্মদ শামীকে দেওয়ার।
রানাঘাট গোপালনগরে আনন্দ মালাকারায় রয়েছে একটি কারখানা। ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি করে আসছেন সিট মেটালের ঝালাইয়ের কাজ। তবে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ থেকে তার নতুন এক শখ জেগে ওঠে। প্রত্যেক বিশ্বকাপের ট্রফির হুবহু নকল একটি ট্রফি তিনি বানিয়ে থাকেন। আর সেই ট্রফি কিনতেই হিড়িক লেগে যায় স্থানীয় ক্লাব থেকে শুরু করে ক্রিকেটপ্রেমী মানুষদের।
ভারত বিশ্বকাপ জিতুক কিংবা না জিতুক প্রত্যেক বছরেই তিনি এই ট্রফি বানিয়ে চলেছেন সেই 2003 সাল থেকে। এবারেও তার নড়চড় হয়নি, ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসা এবং আনুগত্য থেকে এ বছর ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে ট্রফি বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন আবারো তিনি। সমগ্র ট্রফি টাই বানিয়েছেন তিনি অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে। ট্রফিটি বানাতে তার সময় লেগেছে দুই থেকে আড়াই দিনের মত। তিনি চান কোনভাবে এবছর বিশ্বকাপ ভারতের হাতছাড়া হবে না আর সেই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মোঃ শামীকে তার বানানো এই ট্রফিটি উপহার স্বরূপ তুলে দেওয়ার মনোবাসনা। তবে তিনি এও জানান প্রতিবার বিশ্বকাপের সময় তার বানানো ট্রফি কিনতে হিড়িক লেগে যায় মানুষের। তবে এ বছর চিত্রটা অনেকটাই অন্যরকম। এখনো পর্যন্ত তেমন কেউ আসেননি তার ট্রফিটি কেনার জন্য। ট্রফিটি দাম পড়বে প্রায় হাজার টাকার কাছাকাছি। তিনি চান কেউ আসুক বা না আসুক তার বানানো এই ট্রফি যাতে পৌঁছে যায় ভারতে ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মোঃ শামীর কাছে তাহলেই মিলবে শান্তি।
উল্লেখ্য এ বছরে বিশ্বকাপে একের পর এক জয়লাভ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা হোক কিংবা বিরাট কোহলি একের পর বল বাউন্ডারির বাইরে মেরে তারা জিতিয়েছেন ভারতীয় দলকে। শুধু ব্যাটসম্যানরাই নয় বোলারদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মোঃ শামীম নিজের বোলিং এর দক্ষতায় গড়েছেন একের পর এক বিশ্ব রেকর্ড। আর সেই কারণেই তাকে ঘিরে বর্তমানে উন্মাদনা গোটা দেশজুড়ে।