নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিজেপির পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচি কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। ঘটনায় আক্রান্ত একাধিক মহিলা ও পুরুষ বিজেপি কর্মী সমর্থক। ঘটনাটি এদিন নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া এলাকার। জানা যায় কালীপুজোর চাঁদাকে কেন্দ্র করে নিগৃহ ও আহত হয় এক চিকিৎসক, এরপর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে, কিন্তু তার অবস্থার আবারো অবনতি হলে তাকে নদীয়ার কল্যাণীর জি এন এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রাতে আহত চিকিৎসক সুজন দাস কে দেখতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার চিকিৎসক কে মারধরের ঘটনাকে প্রতিবাদ জানিয়ে ফুলিয়ার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি করে বিজেপি নেতৃত্ব, সেখানেই কয়েক ঘন্টা ধরে চলে বিজিবির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ। পরবর্তীতে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে ঢুকতে গেলে শুরু হয় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি, তারপর তা প্রায় হাতাহাতিতে পরিণত হয়। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয় বেশ কয়েকজন মহিলা বিজেপি কর্মী, এছাড়াও আহত হন বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার সহ রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। যদিও পরবর্তীতে পরিস্থিতি রণক্ষেত্র চেহারা নেয়, পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার পুলিশ প্রশাসনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন, তার দাবি পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে, যে ব্যক্তি চিকিৎসককে মারধর করেছে সেই মূল অভিযুক্তকে কেন গ্রেফতার করা হলো না, আমরা সেই কারণেই পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলাম, সেখানে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থকদের আহত হতে হয়েছে, আমরা এর বিচার চাই। যদিও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বলেন, আমাকেও আঘাত পেতে হয়েছে, পুলিশের এই বর্বরতা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা বিজেপির পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুম ধুমার পরিস্থিতি পুলিশের সাথে...