নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- কৃষকদের দীর্ঘ আন্দোলন এবং খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। সারের কালোবাজারি রুখতে তৎপর কৃষি দপ্তর। প্রত্যেকটি সারের দোকানে গিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করলেন ব্লক কৃষি আধিকারিক। চাষিরা যাতে ন্যায্য মূল্যে সার পাই সেই ব্যবস্থা করে দিলেন কৃষি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, মালদহের পুরাতন মালদা ব্লকে সারের কালোবাজারি নিয়ে সরব হয়েছিলেন আলু চাষিরা। ধার্য মূল্য থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা অধিক দাম দিয়ে সার কিনতে হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন চাষিরা। সেই খবর সম্প্রচারিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। তারপরে নড়েচড়ে বসল ব্লক কৃষি আধিকারিক। সোমবার বৈকালে পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক এবং মহিষবাথানি দুই অঞ্চলের বিভিন্ন সারের দোকানে গিয়ে খতিয়ে দেখেন চাষীরা ন্যায্য মূল্যে দাম পাচ্ছেন কিনা।
যদিও এ বিষয়ে চাষীদের তরফে বলা হয়েছে, দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে প্রশাসন কৃষকদের পাশে এন পি কে১০.২৬.২৬( NPK 10.26.26) নিয়ে যে কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছিল ১৪৭০ টাকার পরিবর্তে ৪০০-৫০০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছিল। তবে কৃষি দপ্তরের তৎপরতায় বর্তমানে সরকারি নির্ধারিত যে দাম রয়েছে ১৪৭০ টাকা সে টাকায় দিতে এখন বাধ্য হচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু সার ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে এ বিষয়ে রাসায়নিক সার ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, যে সারের চাহিদা ছিল বাজারে সে সার পাওয়া যাচ্ছিল না যার পরিবর্তে অধিক দামে বিক্রি করতে হচ্ছিল। যদিও এখন এন পি কে ১০.২৬.২৬( NPK 10.26.26) পাওয়া যাচ্ছে আমরা কৃষকের কাছে তা ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করছি।