বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী কেঞ্জাকুড়া গ্রামে এখনও কাঁসা শিল্প জীবিত রয়েছে পুরো দমে।

0
293

আবদুল হাই,বাঁকুড়া:-  ঝকঝকে কাঁসার থালায় ভাত খাওয়ার একটা রাজকীয় আনন্দ রয়েছে। তবে কাঁসার থালা যতটা উজ্জ্বল ঠিক ততটাই কঠিন এই থালা বানানো। কানা নিচু থালা আবার কানা উঁচু থালা। ভাত খাওয়ার থালা আবার মুড়ি খাওয়ার থালা। সব রকমের থালা পেয়ে যাবেন বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুড়া গ্রামে। এই গ্রামে পূর্বপুরুষের আমল থেকেই হয়ে আসছে কাঁসার থালা বানানো। প্রথমে চুল্লিতে গলিয়ে নেওয়া হয় কাঁসা। তারপর অর্ধ গোলাকৃতি আকারের কাঁসার টুকরো গুলিকে হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে কিংবা মেশিনে চাপ দিয়ে থালার আকার দেওয়া হয়। তারপর সেই ঘোলাটে থালাটি পালিশ করবার মেশিনে রেখে কুড়ে কুড়ে আনা হয় চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বলতা।

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কাঁসার দাম তুলনামূলক ভাবে কম ছিল। তখন রমরমা ছিল কাঁসার বাজারের। তারপর লক্ষণীয় মূল্য বৃদ্ধি হয় কাঁসার দামের। ধীরে ধীরে কাঁসার বাসন থেকে দূরে সরতে থাকে মানুষ। অন্নপ্রাশন এবং অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়া ছাড়া কাঁসার বাসনের চাহিদা কমেছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নবদ্বীপে যায় অধিকাংশ কাঁসার বাসন। তারপর মহাজনেরা সেখান থেকে ডিস্ট্রিবিউর করেন বাসন গুলি। বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী কেঞ্জাকুড়া গ্রামে এখনও কাঁসা শিল্প জীবিত রয়েছে পুরো দমে। ভাল গুণগত মানের কাঁসার বাসন পেয়ে যাবেন নিজের চোখের সামনে।

বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরা বিখ্যাত অতিকায় জিলিপির জন্যে। এই গ্রাম বিখ্যাত মুড়ির মেলা এবং কাঁসা শিল্পের জন্যেও। বাঁকুড়া এই শীতে ঘুরতে আসবেন বহু মানুষ। বাঁকুড়া শহর থেকে সর্পিল এবং গাছ গাছালিতে ঘেরা রাস্তা অনুসরণ করে যদি কেঞ্জাকুরা আসেন তাহলে নিজে যাচাই করে কিনতে পারবেন সর্বোচ্চ মানের কাঁসার বাসন।