বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন, পূর্ব বর্ধমানে একাধিক বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা হয়েছে আবার কোথাও চলছে ভাঙার কাজ।

0
184

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ-বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন, পূর্ব বর্ধমানে একাধিক বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা হয়েছে আবার কোথাও চলছে ভাঙার কাজ। যে সকল মানুষ সেই খাস জায়গায় কিছু অর্থ দিয়ে বসবাস শুরু করেছেন এখন সমস্যায় পড়েছেন তারা, তৈরি হয়েছে মনে আতঙ্ক। এমনই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান দুই ব্লকের বৈকুন্ঠপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে বাম বটতলা এলাকায়। গত মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এই বাম বটতলা এলাকায় একটি সরকারি জমিতে অস্থায়ী আন্ডারপাস দেওয়া দোতলা বাড়ি তৈরি কাজ বন্ধ করান এবং তিনি বলেন, এই বেআইনি বাড়িগুলিতে সাত দিনের মধ্যে বিয়েলারো দপ্তরের প্রয়োজনে নথি জমা করতে হবে। না হলে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই জায়গায় বসবাসকারী এক মহিলা বলেন,এখন দেখা যাচ্ছে পাশের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন এবার হঠাৎই যদি আমাদেরও বলে এই বাড়িগুলি ছেড়ে চলে যেতে তাহলে বড় সমস্যায় পড়বো। আমরা দিনানি দিন খাই মানুষ। এই জায়গা যদি আমাদের ছেড়ে দিতে বলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়বো।এ বিষয়ে আমরা পঞ্চায়েতে লিখিত আকারে জানিয়েছি।

যদিও এ বিষয়ে শেখ মনোয়ারা বেগম বলেন, এই জায়গায় ৫ কাটার মতো আমাদের দখলদারি ছিল দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবা চাষবাস করত। জলের সমস্যায় চাষ বন্ধ হয়ে যায় যার ফলে জঙ্গল হয়ে যায়। আর এই জায়গায় বর্তমানে আমরা দিদির ছেলেকে দিয়েছি এখন দেখা যাচ্ছে। সেই জায়গায় যখন দিদির ছেলে বাড়ি তৈরি করে তখন এক দালাল তার পেছনে লাগে সে প্রশাসনের কে জানিয়ে বেআইনি দখল বলে বাড়ির কাজ বন্ধ করিয়েছে। বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের এবং আশপাশ ওই দালাল আমাদেরকে না জানিয়ে বিক্রিও করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে বৈকন্ঠপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত উপ প্রধান জয়দেব ব্যানার্জী বলেন, বিষয়টা আমি শুনেছি এবং কয়েকজন পঞ্চায়েতে জানিয়েছেও। জেলা পরিষদের তদন্ত করবে এই কাজের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত থাকে তার শাস্তি পাবে।