মালদহ, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গ্রামীণ পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত ২। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাড়িতে ধাক্কা মারে গ্রামীন পুলিশের মারুতি ভ্যান। ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত আরো দুইজন। গ্রামবাসীর অভিযোগ ওই গ্রামীণ পুলিশ পুলিশের তদন্তের কারণে গ্রামে এসে ছিলেন নিজের গাড়ি নিয়ে। মদ্যপ অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাড়িতে ধাক্কা মারেন। মালদহের চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলপুর গ্রামের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। মৃত দুই ব্যক্তির নাম দানেসা বিবি(৫০), গোয়ালুউদ্দীন (৭০)। আহত দুই নাবালক এবং নাবালিকা। আহতদের নাম লিজা পারভীন (১০), মিজাউল (৬)। এই মুহূর্তে পুলিশের ভূমিকায় বিক্ষোভ চলছে গ্রামে।
গ্রামবাসীর দাবি ঘাতক গ্রামীণ পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অত্যাচার চালান। আজ উনি একটি তদন্তের নাম করে এসে মদ্যপ অবস্থায় এই ভাবে দুইজনের প্রাণ নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সন্ধ্যার সময় গ্রামীণ পুলিশ নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এসেছিল একটি তদন্তের জন্য। তারপরেই সোজা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাড়িতে ধাক্কা মারে। সেখানে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা উনার কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আরো অভিযোগ স্থানীয়দের পুলিশের তদন্তে কারণে এসেছিলেন ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে। মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় অত্যাচার চালাতেন। উনার কঠোর শাস্তির দরকার। এদিকে দুই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করেই গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ চক্রান্ত করে পুলিশ ধামাচাপা দিতে চাইছে। ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে গ্রামে।
অন্যদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মালদা জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে সালিশি করার চেষ্টা করছিলেন। যার জেরেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। যদিও উনার পাল্টা দাবি উনি মৃতের পরিবারের পাশে আছেন। ময়না তদন্ত অবশ্যই হওয়া উচিত। উনি খবর পেয়ে সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্যই এসেছেন।