পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৩ টি। তৃণমূল পেয়েছিলো ১১ টি, সিপিএম ৫টি, বিজেপি ৫ টি এবং নির্দল ২ টি আসন পায়। ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রাখতে সিপিএমের প্রার্থী আব্দুল জব্বার কে পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করায় শাসকদল এমন অভিযোগ উঠে আসে।ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গত ১১ অগস্ট বোর্ড গঠনের দিন। তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও বোর্ড গঠন নিয়ে বিতর্ক ওঠে। বিরোধীরা আদালতে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন ৬ সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় আবার নির্বাচন করে বোর্ড গঠন করার।সেই নির্দেশের পর গ্রাম পঞ্চায়েত স্তব্ধ হয়ে পড়ে।নির্দেশ আসে ২৮ নভেম্বর গঠন হবে বোর্ড।২৫ নভেম্বর তৃণমূল ডিভিশন বেঞ্চ এ আপিল করে বোর্ড গঠন এ স্টে অর্ডারের। অপরদিকে সিপিআইএম এর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই কেস লড়েন।তৃণমূলের জয়ী ১১ প্রার্থীর আপিল খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আগামী ২৮ তারিখ নির্বাচন হবে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর এই কেসের অন্তিম শুনানি।
মঙ্গলবার শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীন কার্যত শাসকদলের বক্তব্যে শিলমোহর পড়লো, শাসক দল তৃণমূলের বারবার দাবি ছিল রাম বাম জোটের কথা, তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ও দাবি করতেন এই জোটের, এবং অশুভ জোট বলে দাবি করতেন, সেই বক্তব্যেই সিলমহর পড়লো মঙ্গলবার, বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরুর পূর্বে দেখা যায় বিজেপি সিপিএম ও নির্দল জয়ী প্রার্থীরা একসাথে রয়েছেন নন্দকুমার এর সিপিআইএম পার্টি অফিস এ, একসাথে দল বেঁধে নন্দকুমার সমষ্টি উন্নয়ন অধিকারীক এর দপ্তরে আসেন, অপরদিকে তৃণমূল এর প্রার্থীরা আলাদা ভাবে এসে পৌঁছয়। শেষে বের হয়ে জোট প্রার্থীরা পুনরায় সিপিআইএম পার্টি অফিস এ ফিরে যায়, যদিও সিপিআইএম এর দাবি এই জোট মানুষের জোট, আর এই নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতর
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা শীতলপুর পশ্চিম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে শাসকদলের রাম বাম জোটের বক্তব্যে শিলমোহর।