কল্যাণীর চাঁদমারিতে বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ।

0
119

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  শুক্রবার দুপুরে এক বিজেপি কর্মী সেলুন মালিককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার ঘটনা ঘটলো কল্যাণীর চাঁদমারি এলাকায়। আহত ব্যক্তিকে দেখতে হাসপাতালে দেখতে এলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল, কল্যাণী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। আহত ব্যক্তির নাম মিহির বিশ্বাস। বয়স ৩৫ বছর।
এই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে কল্যাণী থানার সামনে রাস্তার মাঝখানে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। অবরোধে সামিল হয়েছেন কল্যাণী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়, কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনি পাত্র। কল্যাণীতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আসছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, আক্রান্ত মিহির বিজেপি কর্মী। তাঁকে মাটিতে ফেলে কোপানো হয়। ঘটনাস্থলে তাঁর হাতের একটি আঙুল কেটে গেছে। পিছনে ঘাড়ে হেঁসোয়ার কোপ পড়েছে। এ ঘটনায় জনরোষে আততায়ী আরমান তরফদদার ও তাঁর ভাইকে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। আহতদের কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে মিহির মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওটিতে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সকালে সেলুন খোলেন মিহির বিশ্বাস। হঠাৎই পিছন থেকে এসে আরমান তাঁকে হাঁসুয়ার কোপ মারে। সে ঘুরে দাঁড়াতে হাতে কোপায়। যার দরুন মিহিরের একটি আঙুল কেটে পড়ে। পরে ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে।
উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা আততায়ীকে ধরে ফেলে। চলে গণপ্রহার। আরমানকে বাঁচাতে এসে আহত হয় তাঁর ভাইও। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কল্যাণী থানার পুলিশ। তবে কী কারণে এই খুনের চেষ্টা তা জানা যায়নি। অন্যদিকে আহত আরমান ও তার ভাইও চিকিৎসাধীন কল্যাণি জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে ও থানার সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।