নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- হৃদ্যন্ত্রের মাংসপেশি, ভালভ , ধমনির পরিস্থিতি জানতে এবং হৃদ্যন্ত্রে রক্তের চাপ বুঝতে রোগীকে ক্যাথ ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়। ত্রুটি ধরা পড়লে প্রয়োজনমতো রক্তনালিতে স্টেন্ট (রিং) পরানো, পেসমেকার বসানো, সংকুচিত ভালভকে ফোলানোসহ অস্ত্রোপচার করা হয়। ক্যাথ ল্যাবে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, ফিজিওলজিস্ট, নার্স ও রেডিওগ্রাফার একসঙ্গে কাজ করেন।
কলকাতায় এ ধরনের পরিষেবা চালু থাকলেও নদীয়াতে এই প্রথম বলে জানাচ্ছেন রানাঘাটের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ডাক্তার ডক্টর শিবানন্দ প্যাটেল জানিয়েছেন
হার্ট অ্যাটাকের পর শতকরা ২৫ জন প্রথম একঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বাকিদের শতকরা ১৫ জন মারা যায় হাসপাতালে নেওয়ার পর। তাই হার্ট অ্যাটাকের সময় কালক্ষেপণ না করে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। দেরিতে বাড়তে থাকে মৃত্যুঝুঁকি ।
অনেকে হৃদরোগের ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে নিজে নিজেই অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেয়ে মারাত্মক ভুল করেন। এই ভুল কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
তবে এই সমস্তই এখন থেকে নদিয়া বাবাসীর জন্য হাতের নাগালে মিলবে সম্পূর্ণ অর্ধেক মূল্যে আর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে তা সম্পূর্ণ ফ্রিতে। চব্বিশ ঘন্টা ধরে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানরা সদা সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন রোগীর পরিষেবায়। ইতিমধ্যে ৩০ জনের বেশি নাম লিখেছেন এই পরিষেবা নেওয়ার জন্য। এমনটাই জানিয়েছেন ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের গ্রোথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার সন্দীপন মজুমদার।