হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন দক্ষ নেতৃত্বকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিচ্ছেন অঞ্চল সভাপতি।

0
161

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—– হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন দক্ষ নেতৃত্বকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিচ্ছেন অঞ্চল সভাপতি।দলের প্যাডে লেখা সেই নির্দেশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও অঞ্চল সভাপতির দাবি তিনি বহিষ্কারের জন্য ব্লক সভাপতিকে চিঠি করেছেন। কি ভাবে সেই কাগজ ভাইরাল হলো তিনি জানেন না।সাথে অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ অঞ্চল চেয়ারম্যান এবং ওই প্রাক্তন নেতা পঞ্চায়েত ভোটে দল বিরোধী কাজ করেছেন। তাদের জন্যই পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি তৃণমূল। পাল্টা ওই নেতাদের দাবি অঞ্চল সভাপতি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। দলের প্রটোকল না মেনে শোকজ করার আগেই বহিষ্কার করে দিচ্ছেন। সমগ্র ঘটনায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল।

দলের নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রটোকল ভেঙে শাসকদলের অঞ্চল চেয়ারম্যান কে বহিষ্কার করার অভিযোগ ওই অঞ্চলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে।আর এই বহিস্কারের চিঠি সামনে আসতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বহিষ্কারের চিঠি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। যাদের বহিষ্কার করার চিঠি ভাইরাল হয়েছে তাদের অভিযোগ দলের অঞ্চল সভাপতি নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই উনি দলের নিয়মকানুন না মেনে স্বচ্ছ ভাব মূর্তির দলের অঞ্চল চেয়ারম্যান কে বহিষ্কার করেছেন। যদিও অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য অঞ্চল চেয়ারম্যান এবং ব্লকের আরেক নেতা বিগত পঞ্চায়েত ভোটে দলকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন এবং দলবিরোধী কাজ করেছেন বলেই পঞ্চায়েতে শাসক দলের ভরাডুবি ঘটেছে। তাই উনি বহিষ্কারের জন্য ব্লক সভাপতিকে চিঠি করেছেন। কিন্তু কিভাবে এই কাগজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো তা তিনি জানেন না। এই ঘটনায় দলের অন্দরে শুরু হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চরম অস্বস্তিতে শাসকদল।হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ভালুকা অঞ্চলের সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ সাহা গত সপ্তাহে দলের প্যাডে ওই অঞ্চলের বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোক এবং দলের প্রাক্তন ব্লক সাধারণ সম্পাদক বিবেকচন্দ্র সাহাকে বহিষ্কার করার নির্দেশ জারি করেন। দলের প্যাডে ছাপানো সেই নির্দেশের কাগজ ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ বিগত পঞ্চায়েত ভোটে ওই দুজন দলবিরোধী কাজ করেছে এবং অন্তরঘাত করে ভালুকা অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি ঘটিয়েছে। আর এই কারণে পঞ্চায়েত হাত ছাড়া হয়েছে শাসকদলের তাই এই দুইজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো। আর এই বহিষ্কারের ঘটনার পরেই সরব হয়েছে দলের একাংশ। তাদের দাবি অঞ্চল সভাপতি কখনোই অঞ্চল চেয়ারম্যান কে বহিষ্কার করতে পারেন না তার সেই অধিকার নেই। তিনি দলের প্রটোকল না মেনেই এই কাজ করেছেন। সাথে অঞ্চল সভাপতি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং তার জন্যই পঞ্চায়েতের এই ফলাফল বলে তারা অভিযোগ করেছেন। যদিও এই বিষয়ে দলের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সাফাই দিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। ব্লক নেতৃত্ব এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চায়নি। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি।