আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- বৃদ্ধাবাসে বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের একাকিত্বের রুটিনে বাঁধা জীবন। যে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধা সংসারের অবহেলা, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা এবং ছেলে বউদের উপেক্ষায় শেষ পর্যন্ত স্থান পায় বৃদ্ধাশ্রমে তাদের বুকের মাঝে সবসময় একটা যন্ত্রনা পেঁজা তুলোর মত পাক খায় বুকের ভিতরে যদিও বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের রামসাগরের অমর সেবা সংঘের কর্তৃপক্ষ সবসময় চেষ্টা করেন আবাসিকদের হাসিখুশি, আনন্দের মধ্যে রাখতে কিন্তু তবুও কখনো কখনো মাঝেমধ্যেই যেন সুর কেটে যায় আবাসিকদের একাকিত্বে, আর আবাসিকদের সাময়িকের জন্য হলেও একাকিত্বের যন্ত্রণা মুছে দিতে তালডাংরা ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসেনজিৎ মন্ডল এবং তাঁর স্ত্রী ঝিলিক মন্ডল সিদ্ধান্ত নেন তাঁদের বিবাহ বার্ষিকী পালন করবেন অমর সেবা সংঘের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মধ্যে। সিদ্ধান্ত মতই কাজ তাঁরা বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকার বাইরে করলেন অন্যান্য খাদ্যের আয়োজন, কাটা হলো কেক, হলো আড্ডা হাসি খুশি, হইচই এবং জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। সবটাই যেন নিয়মের বাইরে একটু অন্যরকম ভাবে উপভোগ করা এবং বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের উপভোগ করতে দিনটিকে প্রাণবন্ত করে তোলার আন্তরিক প্রয়াস। সবমিলিয়ে ভীষণ খুশি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা, তাঁরা জানাই – প্রতিদিনকার রুটিন জীবনের বাইরে আজকের দিনটিকে তাঁরা সকলে বিশেষভাবে উপভোগ করেছে, আনন্দ করেছে এবং হইচই করেছে। বৃদ্ধাশ্রমের সুপারিনটেনডেন্ট রামানন্দ দাস অধিকারী বলেন – কোন সরকারি আধিকারিক বৃদ্ধাশ্রমে এসে নিজের বিবাহ বার্ষিকী পালন করছেন আবাসিকদের সঙ্গে নিয়ে এটা খুবই বিস্ময়কর এবং আগে কখনো হয়নি, আশা করি এরপর হয়তো অনেকেই এই কাজে এগিয়ে আসবেন এবং তাদের জীবনে মূল্যবান কিছুটা সময় আবাসিকদের সঙ্গে আনন্দ, হইচই করে যাবেন।