নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- ধান বিক্রি করতে সমস্যা মুখে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্যের সরকারি খাতায় ধান দিতে গিয়ে সমস্যা মুখে কৃষকেরা। কিষান মান্ডিতে কৃষকরা সরকারি ন্যায্য মূল্যের ধান দিতে এসে চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছে এমনই অভিযোগ কৃষকদের l গাজোলের কৃষাণ মান্ডিতে কৃষকদের অভিযোগ তাদের কাছ থেকে সরকারি ন্যায্য মূল্যে ধান দিতে এসে হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছ l কৃষকদের কাছ থেকে বেশি করে ধলতা চাওয়া হচ্ছে l যার ফলে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন মালদার গাজোল ,হরিশ্চন্দ্রপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে কিষাণ মান্ডিতে বেশি পরিমাণে ধলতা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছেl চাষিরা এই নিয়ে রীতিমতো প্রতিবাদ জানাচ্ছে। যেখানে কুইন্টাল প্রতি ২ থেকে ৩ কিলো ঢলতা নেওয়া কথা ছিল সেখানে দেখা যাচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় , সাত কিলো করে ধলতা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষকের কাছ থেকে। শুধু তাই নয় বন্যার সময় মালদা জেলার বামন গোলা ,হবিবপুর, এবং বিশেষ করে গাজোল ব্লকে বন্যার জলে ধানের জমি ডুবে গিয়েছিল সে সময় রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তর থেকে একটি সার্ভে করা হয় এবং যে সমস্ত কৃষকদের ধান নষ্ট হয়ে গেছিল তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল l পুরাতন মালদার কৃষকদেরও একই অভিযোগl কিন্তু আজকে প্রায় এক বছর হতে চলেছে সেই ক্ষতি সরকার দেয়নি বলে অভিযোগ । আগামী দিনে যদি তাদের ক্ষতিপূরণ এবং কম পরিমাণে ঢলতা না নেয় তাহলে কৃষকরা সংঘবদ্ধ হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন l
আর এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময়দেব বর্মন জানান, কৃষকদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে ধলতা নেওয়া হচ্ছে এবং যে ধলতার অর্থ সংগ্রহ হচ্ছে সেটা তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা তাদের সংগঠনের কাজে লাগাচ্ছে।আগামী দিনে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হলে আমি ভারতীয় জনতা পার্টি কৃষকদের হয়ে আন্দোলনে নামবো।
অন্যদিকে মালদা জেলা পরিষদের তৃনমূল সদস্য দীনেশ টুডু জানান, কৃষকদের যা করছে তা আমাদের সরকারই করছে। আজকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কৃষকরা সুরক্ষিত নয়। দল তার বিষয় নিয়ে রীতিমত আমাদের সরকার ভাবছে, পাশাপাশি কৃষকদের যাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সে বিষয়েও খুব শীঘ্রই রাজ্যের কৃষি দপ্তর কৃষকদেরকে তুলে দেবে। বিরোধীদের কাজই হচ্ছে শুধু রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করা
মালদা জেলার কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা দেবনাথ মজুমদার জানান, কিষাণ মান্ডিতে ধান বিক্রি করার ক্ষেত্রে কৃষকদের যে ধলতা বেশি পরিমাণে চাওয়ার অভিযোগ বিষয়টি আমরা শুনতে পেয়েছি আমরা ইতিমধ্যেই কৃষি দপ্তরের আধিকারিক জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করেছি পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে, কৃষকদের যে ক্ষতিপূরণ সে ক্ষতিপূরণও আশা করা যায় ডিসেম্বরের মাসে দেওয়া হবে।