গোমূত্র দিয়ে ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

0
246

আবদুল হাই, বাঁকুড়া: – দেশীয় খাবারের প্রতি ধীরে ধীরে বাড়ছে মানুষের আগ্রহ। জৈব চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন মানুষ। এবার বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে চলছে জৈব ধান বীজের চাষ। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ধান কাটা। একজন চাষী নয়। ছাতনা ব্লকের প্রায় ১৭ টি গ্রাম প্রায় দেড় হাজার কৃষক পরিবার করছেন এই ধান চাষ। Development Research Communication and Services Centre এর তত্ত্বাবধানে চলছে জৈব ধানের চাষাবাদ। গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পরিবারের জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ। কেরালা সুন্দরী, লাল বাদশাহভোগ, মুগাই এবং ভূতমুড়ি ধান চাষ করা হয়েছে ছাতনায়।

দেশীয় ধানের বাজার রয়েছে যথেষ্ট। দেশী ধান শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। আধুনিকতার সঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতনতার বাড়ছে সমাজে। ফলেই এই ধান গুলিকে বিক্রি করে ভবিষ্যৎ দেখছেন কৃষকরা। কোনও রকম রাসায়নিক সার ছাড়াই ব্যাবহার করা হচ্ছে জৈব সার। ইউরিয়ার বদলে ব্যাবহার করা হচ্ছে গোমূত্র। এবছর যথেষ্ট ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। বেশি ধান চাষ করতে খুব একটা প্রয়োজন হয় না ওষুধের। তুলনামূলকভাবে খাটনি কম। ফলন পাওয়া যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি।

খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনতে জৈব এবং দেশীয় খাবার বেছে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গরীব কৃষক এবং পল্লী বাংলার পিছিয়ে পড়া মানুষ গুলি দিন রাত পরিশ্রম করে চাষ করছেন দেশী ধান যাতে একটি রোগমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়া যায়। লাল মাটির বাঁকুড়া সেই পথ দেখাচ্ছে রাজ্যকে।